সর্বশেষঃ

আমির খানের দেহরক্ষী ছিলেন ‘আদলতে’র কেডি পাঠক

ছোট পর্দার বড় তারকা রণিত রায়। ‘আদালত’ সিরিয়ালের মাধ্যমে ভক্তদের ঘরে ঘরে ঠাঁই পেয়েছেন তিনি। যার কারণে বেশিরভাগ মানুষই তাকে ‘কেডি পাঠক’ নামে চিনে। একসময় তিনি ছিলেন আমির খানের দেহরক্ষী। বর্তমানের তিনি ছোট পর্দার বড় তারকা।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম পিংক ভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের তারকা হওয়ার গল্প বলেছেন রণিত। সেখানে উঠে আসে তাঁর সংগ্রামী জীবনের দিনগুলোর কথা। 

তিনি বলেন, মার সৌভাগ্য যে আমির খানের সঙ্গে বছর কাটিয়েছি। আমি তার দেহরক্ষী ছিলাম। আমি একটি কোম্পানি শুরু করেছিলাম। কিন্তু আমার কোনো কাজ ছিল না। আমাকে কিছু একটা করতেই হবে। আমি খুব সৌভাগ্যবান ছিলাম, কারণ আমির খানের সঙ্গে দীর্ঘ সময় পার করেছি। তার কাছ থেকে আমি অনেক কিছুই শিখেছি। এখনো শিখেই যাচ্ছি।

১৯৮৪ সালে শিশু শিল্পী হিসেবে প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তবে ১৯৯২ সালে মূল ভূমিকায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন রণিত।

রণিত বলেন, আমি সব সময়ই তারকা হতে চেয়েছি। মুম্বাইয়ে আসি এ চিন্তা নিয়েই। আমি চেয়েছি আমি বড় গাড়ি কিনব। মেয়েরা আমরা নাম ধরে চিৎকার করবে, ঠিক এখন যেমনটি হয়। যখন আমি ব্যর্থ হয়েছি, পরে ভালো কিছু হয়েছে।

আমি খুব সৌভাগ্যবান ছিলাম, কারণ আমির খানের সঙ্গে দীর্ঘ সময় পার করেছি। তাঁর কাছ থেকে আমি শিখেছি কাজের জন্য কীভাবে অধ্যবসায়ী হতে হয়। নানাভাবেই আমির আমাকে শুরুটা করিয়ে দিয়েছেন। আমার জন্য সব সুযোগের দরজা খুলে দিয়েছিলেন।

রণিতের জীবনে লক্ষ্যই ছিল তারকা হওয়া। যদিও থাকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে সেই জায়গায় পৌছাতে। রণিত বলেন, ‘আমি সব সময়ই তারকা হতে চেয়েছি। ১৫ বছর আগে এই চিন্তা থেকেই মুম্বাইয়ে আসি। আমি চেয়েছি আমি বড় গাড়ি কিনব। মেয়েরা আমরা নাম ধরে চিৎকার করবে, ঠিক এখন যেমনটি হয়। যখন আমি ব্যর্থ হয়েছি, পরে ভালো কিছু হয়েছে। কিন্তু পাঁচ থেকে ছয় বছর আমার কোনো কাজ ছিল না। তখন আমি বুঝতে পেরেছি আসলে সবকিছুই স্টারডম। অভিনেতা হওয়ার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।’ 

এসময় রণিত রায় জানান,  তাকে এ পর্যন্ত আসতে অনেক অপমানও সইতে হয়েছে। একবার তাকে বলা হয়েছিল, তিনি নাকি জুনিয়র আর্টিস্টদের থেকেও খারাপ। তবে এই অপমানই তাকে বড় করেছে। তাকে বুঝিয়ে দিয়েছে, কী করে কঠিন পরিশ্রম করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। 

রণিত রায় ১১ অক্টোবর ১৯৬৫ সালে ভারতের নাগপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ব্যবসায়ী বাবার প্রথম সন্তান। তার ছোটভাই রোহিত রায়ও একজন টিভি অভিনেতা। তার বাল্যকাল আহমেদাবাদ ও গুজরাটে কাটে।ব্যক্তিগত জীবনে ২৫ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে অভিনেত্রী ও মডেল নিলাম সিংয়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে।