সর্বশেষঃ

ইরাকের সাথে সীমানা বন্ধ করে দিয়েছে ইরান।

একইসাথে ইরাকের নাগরিকদের ইরান ভ্রমণ না করতে অনুরোধ করা হয়েছে। সরকার গঠন নিয়ে ইরাকে যখন ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তখনই ইরানের এমন পদক্ষেপের কথা জানা গেল। আজ মঙ্গলবার একজন সিনিয়র কর্মকর্তা তথ্যটি জানিয়েছেন। দ্য পেনিনসুলা।

শিয়াপন্থী মুসলিম নেতা মোকতাদা আল সদরের সমর্থকরা দেশটির প্রেসিডেন্ট ভবন অবরোধ করার পর গোটা দেশে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। কোথাও কোথাও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।

বাগদাদে ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। সদরের অনুগতরা একটি সরকারি ভবনে বিক্ষোভ করেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সাথে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েন। এতে ইরাকের শহর কারবালায় ভ্রমণ অসম্ভব হয়ে উঠেছে লাখ লাখ ইরানির। প্রতিবছর ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর কারবালায় ইরান থেকে লাখ লাখ শিয়ার আগমণ ঘটে। কিন্তু সহিংসতার কারণে এবার তা আর হচ্ছে না।

ইরানের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ মিরাহমাদির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, ইরাকের সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইরানিদের ইরাকে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে হবে। একই কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইরাকে সমস্ত ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি।

বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় টিভি জানায়, ইরাক ও বাগদাদ থেকে ইরানে যাওয়ার জন্য যারা বিমানবন্দরে অপেক্ষায় রয়েছেন, তাদের জন্য বিশেষ জরুরি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।

ইরাকে অভ্যন্তরীণ সহিংসতা মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছেছে। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় দেশটির প্রভাবশালী শিয়া ধর্মগুরু এবং সাদরিস্ট আন্দোলনের প্রধান মোকতাদা আল সদর সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এ সহিংসতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি অনশন ধর্মঘট পালন করবেন।