সর্বশেষঃ

ওলামালীগ নেতা কতৃক প্রবাসীর স্ত্রীকে দুইবছর যাবৎ ধর্ষণ ! দুইবার গর্ভপাত

বরিশাল মহানগর ওলামালীগ এর সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল হাসান আনসারী । পেশায় মসজিদের ইমাম এই ব্যক্তি প্রথম স্ত্রী-সস্তান থাকা সত্ত্বেও শহরের ১১ নং ওয়ার্ডের মাদ্রাসা গলির বাসিন্দা প্রবাসীর চল্লিশোর্ধ্ব স্ত্রীকে ফুঁসলিয়ে নামমাত্র বিয়ে করাসহ গর্ভপাত করানো এবং তার অর্থ স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নিয়েছে। সর্বশেষ শহরের অভ্যন্তরের একটি মূল্যবান জমি নিজের নামে নেওয়ার কৌশলে ব্যর্থ হয়ে নারীকে শারীরিক নির্যাতন করছে। এই ঘটনায় দুই সন্তানের জননী ওই নারী কোতয়ালি থানা পুলিশের কাছে বিচার চেয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব আনাসারীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন।

আনসারী বরিশাল মহানগর ওলামালীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১১ নং ওয়ার্ড বঙ্গবন্ধু কলোনী মসজিদের ইমাম।

নারী অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, স্বামী প্রবাসে থাকাকালে ২০১৩ সালে তার বাসায় গিয়ে শিশু সন্তানদের মাহামুদুল হাসান আনসারী আরবি শেখাতেন। ওই সময় তাকে ফুঁসলানোসহ নানান ভাবে উত্যক্ত করতেন। একদিন একটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে দাবি করে সে নারীকে বিয়ে করেছে। এবং একই বছরের ২ মার্চ এলাকার একটি বাসায় নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে নারীর সাথে ওলামালীগ নেতা শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলেন।

অভিযোগ, একই বছরে তাকে ফুঁসলিয়ে ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কাসহ নগদ ৫ লাখ টাকা নিয়ে যায় আনসারী। এর পূর্বে নারীর পেটে দু দফা সন্তান আসলে ভুল বুঝিয়ে তা গর্ভপাত করান। সর্বশেষ একটি সন্তান গর্ভে আসলে সেটি গর্ভপাত করতে বললে নারী আপত্তি জানালে তাকে মারধর করাসহ নানান কায়দায় নির্যাতন শুরু করেন।

নারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে জানান, তাকে কাবিন ছাড়াই বিয়ে করেছে দাবি করে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিল আনসারী। এবং তার কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কাসহ নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন তার নামে শহরের রুপাতলীতে থাকা একখণ্ড জমি লিখে না দিলে সে আমাকে (নারী) এবং আমার পেটের সন্তানকে হত্যা করার হুমকি দেয়। এই ঘটনায় আমি কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ করেছি এবং তা এই ওয়ার্ডে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা রুমা আক্তার তদন্ত করছেন।