সর্বশেষঃ

কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার গ্যাসক্ষেত্রে মিসাইল হামলা

কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার শরমরোনেফতগ্যাজ অফশোর ড্রিলিং সাইটে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। জবাবে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর সিদ্ধান্তগ্রহণ কেন্দ্রগুলোতে হামলার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। এরইমধ্যে রাশিয়ার মিসাইলবাহী রণতরীর একটি বহর কৃষ্ণ সাগরে সারিবদ্ধ অবস্থান নিয়েছে।

শরমরোনেফতগ্যাজ অফশোর ড্রিলিং সাইটে মিসাইল ছোঁড়ার কঠোর জবাবের হুমকি দিয়েছে রাশিয়া

রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়ার আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান সের্গেই আকসিয়ানভ বলেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী ক্রিমিয়া উপকূলের অদূরে রাশিয়ার শরমরোনেফতগ্যাজ অফশোর ড্রিলিং সাইটে মিসাইল হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় অন্তত তিনজন গুরুতর আহত ও সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন।

আকসিয়ানভ বলেন, আহতদের মধ্যে দুজনের দেহের সিংহভাগ পুড়ে গেছে। আরেকজনের দেহে বেশকিছু শেল বিদ্ধ হয়েছে। নিখোঁজ কর্মীদের সন্ধানে ওই এলাকায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের টহল বোটগুলো কাজ করছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে শরমরোনেফতগ্যাজ খনন ক্ষেত্রে হামলা চালানো হয়। এতে সেখানকার তিনটি প্ল্যাটফর্মের বেশ কয়েকটি ড্রিলিং রিগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।

রুশ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইউক্রেনের বিমান বাহিনী শরমরোনেফতগ্যাজে হামলায় অংশ নেয়। হামলার আগমুহূর্তে ইউক্রেনের দুটি সুখোই-২৭ যুদ্ধবিমান ওডেসার ওপর দিয়ে উড়ে যায়। বেসামরিক অবকাঠামোতে এ হামলার ঘটনায় ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, শরমরোনেফতগ্যাজে হামলার জবাবে রাশিয়া ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ড সেন্টারগুলোতে আক্রমণ চালাবে। এরই মধ্যে সে প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।

হামলার কয়েক ঘণ্টার মাথায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সোমবার দনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের শিরোকায়া দাচায় ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর একটি কমান্ড পোস্টে (সিদ্ধান্তগ্রহণ কেন্দ্র) হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল-স্ট্র্যাটেজিক গ্রুপ আলেক্সান্দ্রিয়ার বৈঠক চলাকালে চালানো এ হামলায় ৫০ জনের বেশি সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

হামলায় নিহতদের মধ্যে ইউক্রেনীয় বাহিনীর কাখোভকা পদাতিক ব্রিগেড, এয়ার অ্যাসল্ট ট্রুপ এবং নিকোলায়েভ-জাপরোঝঝিয়া অঞ্চলের ফরমেশন কমান্ডারসহ কয়েকজন জেনারেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন বলে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ক্রিমিয়ার সিনেটর ওলগা কোভিতিদি বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় ড্রিলিং রিগগুলোতে ১০৯ জন কর্মী ও প্রকৌশলী কর্মরত ছিল। এর মধ্যে ৯৪ জনকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে গ্যাসক্ষেত্রে হামলার পর থেকে রাশিয়ার নৌ বাহিনীর মিসাইলবাহী রণতরীর একটি বহর ক্রিমিয়া উপকূলের কাছে সারিবদ্ধ অবস্থান নিয়েছে জানিয়ে ইউক্রেনীয় সূত্রগুলো বলেছে, যে কোনো মুহূর্তে কিয়েভ অথবা লভিভ শহরে রুশ হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।