সর্বশেষঃ

খুশির অভিষেকের দিনে রোনালদোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ব্যানার

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দ্বিতীয় অভিষেকটা জোড়া গোলে রাঙিয়েছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। ভক্তরা যেমনটা চেয়েছিলেন, তেমন নজরকাড়া পারফরম্যান্সই উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে লাল জার্সিতে ফেরার সুখের দিনে তাকে বিদ্ধ করেছে অস্বস্তির কাঁটাও। রোনালদোকে মুখোমুখি হতে হয়েছে বিব্রতকর একটি পরিস্থিতিরও। তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগকারী এক নারীর সমর্থনে একটি প্রতিবাদী ব্যানার ওড়ানো হয়েছে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের আকাশে। লেভেল আপ নামের ইংল্যান্ডের একটি নারীবাদী সংগঠন এমন কিছুর আভাস দিয়েছিল আগেই।

মূলত রোনালদোর বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ ‘জনতাকে মনে করিয়ে দিতে’ই শনিবার এই প্রতিবাদ জানিয়েছে লেভেল আপ। ব্যানারে লেখা ছিল ‘ক্যাথরিন মায়োরগাকে বিশ্বাস করো’।

২০০৯ সালে রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন মায়োরগা নামের এক নারী। তার দাবি, সে ঘটনা গোপন রাখতে ক্ষমা চান রোনালদো। সামাজিকভাবে হেয় না হতে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলারে সমঝোতাও করেন পর্তুগিজ তারকা। মায়োরগার আইনজীবীর উপস্থিতিতে একটি চুক্তিপত্র করেই সেসময়ই বিষয়টির সুরাহা করা হয়।

কিন্তু বিপত্তি ঘটে ২০১৭ সালে সামাজিক মাধ্যমে নারীদের ‘মি টু’ আন্দোলনের সময়। সাহস করে সেই ঘটনা তুলে ধরেন মায়োরগা। অবশ্য এর আগেই এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল জার্মান সংবাদমাধ্যম ডার স্পেইগেল। তখন মায়োরগার সমর্থন না পাওয়াই বিষয়টি আলোচিত হয়নি। পরে ‘মি টু’ আন্দোলন চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যকার সেই চুক্তিপত্রের কপিটিও প্রকাশ করে ডার স্পেইগেল।

রোনালদো অবশ্য শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। ২০১৯ সালে মার্কিন প্রসিকিউটররা তার পক্ষেই রায় দেন। তাকে ‘সন্দেহাতীতভাবে দোষী প্রমাণ করা যাচ্ছে না’ জানিয়ে তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ। যদিও তখন মায়োরগার পক্ষের দাবি ছিল, এই দফায়ও টাকা দিয়ে আদালতের মুখ বন্ধ করেছেন রোনালদো।

৩৬ বছর বয়সী মায়োরগা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মডেল। ২০০৯ সালে ‘রেইন’ নাইটক্লাবে একজন প্রোমোটার হিসেবে কাজ করতেন কালো চুল ও সবুজ চোখের ওই নারী। লাস ভেগাসে পরিবারের সঙ্গে ছুটিতে যাওয়ার পর রোনালদোর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তার।