সর্বশেষঃ

ছক্কায় শুরু, ছক্কায় ফিফটি, ছক্কায় গেইলের ১৪ হাজার

ছক্কার রাজা তিনি। টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের অবিসংবাদিত সম্রাট। অর্জনে ঠাসা ক্যারিয়ারে আরেকটি মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচে ছক্কায় ভর করেই ধাপে ধাপে এগোলেন ক্রিস গেইল। ২০ ওভারের ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে পা রাখলেন ১৪ হাজার রানের সীমানায়।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বিধ্বংসী ইনিংসের পথে গেইল স্পর্শ করেন স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে ১৪ হাজার রান। বলার অপেক্ষা রাখে না, রানের তালিকায় তার ধারেকাছে নেই কেউ।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকালে এই ম্যাচে সেন্ট লুসিয়ায় গেইল খেলেন ৭ ছক্কায় ৩৮ বলে ৬৭ রানের ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ জেতে ৬ উইকেটে।

১৪২ রান তাড়ায় গেইল উইকেটে যান প্রথম ওভারে, ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার আউট হওয়ার পর। মিচেল স্টার্কের ওই ওভারে তিনটি বল খেলে তিনি রান পাননি। পরের ওভারে জশ হেইজেলউডের লেংথ বল লং অনের ওপর দিয়ে উড়িয়ে প্রথম রানের মুখ দেখেন। বল বাউন্ডারিতে পাঠান পরের তিন বলেও, তিনটি চার।

ছক্কায় রাঙানোর সেটি কেবল শুরু। নবম ওভারে অ্যাডাম জাম্পাকে লং অন দিয়ে উড়িয়ে পূর্ণ হয় তার ১৪ হাজার। এই লেগ স্পিনারের পরের ওভারে টানা তিন ছক্কায় তিনি পৌঁছে যান ফিফটিতে।

১৪ হাজার টি-টোয়েন্টি রান, এই সংস্করণে আরও অনেক অর্জনের মতো এখানেও প্রথম ‘ইউনিভার্স বস।’ ১১ হাজার রানও নেই আর কারও!

১০ হাজার ৮৩৬ রান নিয়ে অনেকটা পেছনে থেকে দুইয়ে আছেন তার ক্যারিবিয়ান সতীর্থ কাইরন পোলার্ড।

গেইলের ১৪ হাজার এসেছে ৪২৩ ইনিংসে। পোলার্ডের ওই রান করতেই খেলেছেন ৪৮৪ ইনিংস।

টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হওয়ায় যদিও বড় ইনিংস খেলার সুযোগ বেশিই পেয়েছেন গেইল। তবে তার শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে সংশয় নেই এতটুকুও। অন্যান্য কিছু রেকর্ডে তাকালেই সেটা ফুটে ওঠে। শধু তিনি সবার ওপরে বলেই নয়, যতটা ব্যবধানে এগিয়ে!

এই ম্যাচের পর তার ছক্কার সংখ্যা ১ হাজার ২৮টি। এই রেকর্ডের দুইয়ে থাকা পোলার্ডের ছক্কা ৭৩০টি।

গেইলের বাউন্ডারি এখন ১ হাজার ৮৩টি। ডেভিড ওয়ার্নার এখানে দুইয়ে ৯৭৩ বাউন্ডারি নিয়ে।

২০ ওভারের ক্রিকেটে অবিশ্বাস্যভাবে ২২টি সেঞ্চুরি গেইলের। এখানে তার পরে থাকা ডেভিন ওয়ার্নার, মাইকেল ক্লিঙ্গার ও অ্যারন ফিঞ্চের শতরান স্রেফ ৮টি করে।

পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস একশর বেশি খেলা একমাত্র ব্যাটসম্যান গেইল, ১০৮টি। ওয়ার্নারের তা ৯০টি।

এছাড়াও এই সংস্করণে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস (১৭৫*), দ্রুততম সঞ্চুরি (৩০ বলে), দ্রুততম ফিফটি (১২ বলে, যৌথভাবে), এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা (১৮টি), এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রান (১ হাজার ৬৬৫), হেরে যাওয়া ম্যাচে দেড়শ রানের একমাত্র ইনিংস (১৫১*), শূন্যবিহীন সবচেয়ে বেশি ইনিংস (১৪৫), এরকম অনেক রেকর্ড তার।

এমনকি সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ডও তার, ২৯ বার!