সর্বশেষঃ

জলাবদ্ধতা নিরসনে ওয়াসা ও পাউবো ব্যর্থ : ডিএসসিসি মেয়র

স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ওপর অর্পিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা সে দায়িত্ব পালনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। দায়িত্ব আমাদের দেন, আমরা দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন করবো।

বুধবার জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয় নির্ধারণে ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় ডিএসসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রীকে এ কথা জানান।

এ সময় স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ এর ২য় তফসিল ও ৩য় তফসিলের বিভিন্ন বিধি, ধারা ও উপধারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় পানি নিষ্কাশন, জলাধার সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে দায়বদ্ধ। কিন্তু দীর্ঘদিন ঢাকা ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড জলাধার সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পানি নিষ্কাশনসহ জলাবদ্ধতা নিরসনের সেই দায়িত্ব নিজেদের তাদের আওতায় রেখে দিয়েছে। আইন অনুযায়ী তারা আমাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করছে না, কিন্তু তারা সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনও করছে না। ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড দায়সারাভাবে দায়িত্ব পালন করছে বলেই বছরের পর বছর ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইন অনুযায়ী দায়িত্ব আমাদের কাছে হস্তান্তর করুন, আমরা দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। দায়িত্ব নিয়ে আমরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে ঢাকা শহরকে, ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি দেব।

তাপস বলেন, আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। তাই আমাদের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। কিন্তু করপোরেশন এলাকায় বর্তমান এই জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী সংস্থাগুলোর সংস্থা-প্রধান ও প্রতিনিধিবর্গ যেসব তথ্য দিয়েছেন, সে তথ্যগুলো পুরোপুরি সঠিক নয়। প্রয়োজনে আপনি (স্থানীয় সরকার মন্ত্রী) সহকারে আমরা এখনই পরিদর্শনে যেতে পারি। সভায় যেসব তথ্য-উপাত্ত সেবা সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো হতে উপস্থাপন করা হয়েছে, সেগুলোর সত্যতা আমরা সরেজমিনে যাচাই করতে পারি। আমি আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, উপস্থাপিত তথ্যগুলো সঠিক নয়। সেটি আমরা সরেজমিনে স্পটে গিয়ে প্রমাণ করতে পারবো।

ডিএসসিসি মেয়র এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে পাউবো ও ওয়াসার হয়ে উপস্থাপিত উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করলে মন্ত্রী তাতে সায় দেন। এরপর বিকেলে ডিএসসিসির ১৪ নম্বর, ২২ নম্বর ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের খাল ও পাম্প স্টেশনে পরিদর্শনে যান। খালগুলো ময়লা-আবর্জনা জমে নিশ্চল-নিথর হয়ে পড়ে থাকায় ও পাম্প হাউজের নিশ্চলতা দেখে উপস্থিত সবাই হতাশা প্রকাশ করেন। তারপর সোনারগাঁ হোটেলের পাশে হাতিরঝিল স্লুইস গেট পরিদর্শনে যান। সে সময় স্লুইস গেট কবে থেকে উন্মুক্ত করা হয়েছে জানতে চাইলে জানানো হয়, গত ১৩ জুলাই থেকে খোলা রয়েছে।