সর্বশেষঃ

টমেটো একটি ম্যাজিকেল ফল ও সবজিঃ

টমেটো একটি ম্যাজিকেল ফল ও সবজিঃ

টমেটো একটি দৃষ্টিনন্দন শীতের সবজি হলেও এখন প্রায় পুরো বছরজুড়ে টমাটো সর্বত্র পাওয়া যায়। চলুন দেখা যাক টমেটোর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সমূহ। টমাটো শুধুমাত্র একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি নয় এতে এমন সব ঔসুধি গুণ রয়েছে, যা আপনি কখনো শুনেন নেই! সবজি হিসেবে টমেটোর জুড়ি অনেক।

এটি যেমন কাঁচা খাওয়া যায়, ঠিক একইভাবে রান্না করে বা রান্না সুস্বাদু করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। রান্না না করলে টমেটোর যে পুষ্টিগুণ থাকে, রান্না করলে সেই পুষ্টি কিছুটা কমে যায়। শরীরকে সুস্থ-সবল রাখতে টমেটোর ভূমিকার কথা নতুন নয়। সর্বাধিক উপকার পেতে টমেটো কাঁচা খাওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
টমেটোর ইংরেজি নাম হচ্ছে Tomato এবং বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Solanum Lycopersicum। শীতের সবজি টমেটো একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য।তবে বর্তমানে সারা বছর এই সবজি পাওয়া যায়।টমেটোর পুষ্টি উপাদান প্রচুর থাকায় এটি বিভিন্ন ভাবে খাদ্য হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। রান্না বা সালাদে টমেটো ছাড়া চিন্ত করা যায় না।
এছাড়া টমেটোর সস ব্যপক ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি বহুমুখী গুণ সম্পন্ন একটি সুস্বাদু খাবার টমেটোর পুষ্টির পরিমাণ সমান ওজনের আপেল, নাসপাতি, কলা বা আঙ্গুরের তুলনায় দ্বিগুণ থেকে চারগুণ বেশি। টমেটোতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-এ,ভিটামিন-সি,ভিটামিন-কে, ফলিক এসিড, লাইকোপেন,ক্রোমিয়াম ও আরও গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনসমূহ। এতে কোন ফ্যাট থাকেনা এবং এতে ক্যালোরি, কোলেস্টেরল ও সোডিয়াম খুব কম থাকে।

টমেটোর পুষ্টিগুণঃ

প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে আছে- খাদ্যশক্তি ১৮ কিলোক্যালরি, চর্বি ০.২ গ্রাম, আমিষ ০.৯ গ্রাম, ফাইবার ১.২ গ্রাম, কোলেস্টেরল ০ মিলিগ্রাম, শর্করা ৩.৯ গ্রাম, লৌহ ০.৩ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৫ মিলিগ্রাম, লাইকোপেন ২৫৭৩ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন এ ৮৩৩ আইইউ, পটাশিয়াম ২৩৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ১৩ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১১ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৪ মিলিগ্রাম ও জিংক ০.১৭ মিলিগ্রাম।

স্বাস্থ্য উপকারীতাঃ

১। দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, টমেটোয় উপস্থিত ভিটামিন এ, ফ্লেবোনয়েড, থিয়ামিন, ফোলেট এবং নিয়াসিন শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে একাধিক চোখের রোগকে দূরে রাখতেও এই উপদানগুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্রসঙ্গত, যেমনটা আগে আলোচনা করা হয়েছে যে শীতকালে একাধিক ক্ষতিকর জীবাণুর প্রকোপ বেড়ে যায়। আর এই সব ব্যাকটেরিয়াগুলোর কারণে যাতে চোখের কোনও ক্ষতি না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে রোজের ডায়েটে টমেটোর আন্তর্ভুক্তি মাস্ট!

২। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে
টমেটোয় উপস্থিত মিনারেল এবং ভিটামিন শরীরে প্রবেশ করার পর শিরা-ধমনীর উপর রক্তের প্রেসার কমতে শুরু করে। ফলে ব্লাড প্রসোর নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। তাই এই মারণ রোগ থেকে যদি দূরে থাকতে চান, তাহলে নিয়মিত ২-৩ টি করে টমেটো খেতে ভুলবেন না যেন!

৩। ক্যানসারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, টমেটোয় উপস্থিত লাইকোপেন প্রস্টেট, কলোরেকটাল এবং স্টমাক ক্যানসার রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে লাইকোপেন হল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা কোষের বিভাজন ঠিক মতো হতে সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যানসার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা কমে। আর যদি একবার ক্যানসার কোষ জন্ম নিয়েও নেয়, তাহলেও যাতে তার বৃদ্ধি দ্রুত গতিতে না হয়, সে দিকে টমেটো খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই মারণ রোগ শরীরকে ক্ষয় করার সুযোগ পায় না।

৪। স্কিন টোনের উন্নতি ঘটে
টমেটোয় উপস্থিত লাইকোপেন নামে একটি উপাদান ত্বকের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে আরেকভাবেও এই সবজিটিকে কাজে লাগাতে পারেন। কীভাবে? ১০-১২ টা টমেটো নিয়ে ভেতরটা পরিষ্কার করে নিন। তারপর টমেটোর স্কিনটা ভুল করে সারা মুখে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পরে ভাল করে মুখটা ধুয়ে নিন। সপ্তাহে কয়েকবার এমনভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলে দেখবেন বলিরেখা কমতে শুর করবে। সেই সঙ্গে স্কিনের ঔজ্জ্বল্যও বৃদ্ধি পাবে।

৫। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
নিয়মিত ১-২ করে টমেটো খাওয়া শুরু করলে শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বাড়তে শুরু করে। এই ভিটামিনটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতিতে সাহায্য করে। ফল সি ভিটামিনের পরিমাণ শরীরে যত বাড়ে, তত রোগ ভোগের আশঙ্কা হ্রাস পেতে শুরু করে। এবার বুঝেছেন নিশ্চয় যে রোজের ডায়েটে এই সবজিটি রাখলে কতই না উপকার মেলে।

৬। হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, টমেটোর শরীরে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর পাকস্থলির কর্মক্ষমতা এতটা বাড়িয়ে দেয় যে হজম সংক্রান্ত যে কোনও ধরনের সমস্যা কমতে একেবারেই সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কনস্টিপেশনের মতো রোগের প্রকোপও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এই সবজিটি নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।

৭। হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
টমেটোয় উপস্থিত ভিটামিন বি এবং পটাশিয়াম, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই সঙ্গে রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, যাদের পরিবারে হাই কোলেস্টেরল এবং ব্লাড প্রেসার রোগের ইতিহাস রয়েছে তারা আজ থেকেই কাঁচা টমেটো খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন আয়ু বাড়বেই বাড়বে।

৮। ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি দূর হয়
যেমনটা আগেও অলোচনা করা হয়েছে যে রক্তিম বর্ণের গোলগাল এই সবজিটির ভিতরে শরীরের প্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি ভিটামিনের সন্ধান পাওয়া যায়, যেমন ধরুন ভিটামিন এ, কে, বি১, বি৩, বি৫, বি৭ এবং সি। সেই সঙ্গে টমেটোর শরীরে প্রচুর মাত্রায় মজুত থাকে ফলেট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্রোমিয়াম, জিঙ্ক এবং ফসফরাসের মতো খনিজও। তাই নিয়মিত টমেটো খেলে শরীরের যে নানাবিধ উপকার হয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

৯। ত্বকের বয়স কমে
আপনার বয়স কি ৩০ পেরিয়েছে? তাহলে প্রতিদিন টমেটোর রস লাগানো শুরু করুন মুখে। কারণ এই বয়সের পর থেকেই নানা কারণে ত্বক বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বলিরেখা প্রকাশ পাওয়ার কারণে সৌন্দর্য কমে চোখে পরার মতো। কিন্তু যদি টমেটোকে উদ্ধার কাজে লাগান, তাহলে ত্বকের এমন খারাপ অবস্থা হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটির ভিতরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান ত্বকের ভিতরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে স্কিনের ভিতরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হওয়ার কারণে ত্বক টানটান হয়ে ওঠে। ফলে বলিরেখা গায়েব হতে সময় লাগে না।

১০। ক্ষতিকারক উপদান হ্রাস
কখনও খাবারের সঙ্গে তো কখনও অন্যভাবে আমাদের শরীরে টক্সিক উপাদানের প্রবেশ ঘটে। এই ক্ষতিকারক উপাদানগুলো যাতে শরীরের কোনও ক্ষতি করতে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই সঙ্গে একাধিক রোগের হাত থেকেও রক্ষা করে। টমেটো যেহেতু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, তাই তো শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত কাঁচা টমেটো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

১১। ত্বকের ময়লা
এ কথা নিশ্চয় জানা আছে, পরিবেশে উপস্থিত ডাস্ট পার্টিকালরা প্রতিনিয়ত ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করে স্কিনের মারাত্মক ক্ষতি করে চলেছে। তাই তো দিনের শেষে সবাইকেই ভাল করে মুখ ধুয়ে শুতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু সমস্যাটা হল বাজার চলতি বেশিরভাগ ফেসওয়াশ জেলই এই কাজটি ঠিক মতো করে উঠতে পারে না। ফলে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এমন অবস্থায় ত্বককে বাঁচাতে যদি অ্যাভোকাডোর সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুন উপকার পাওয়া মেলে। আসলে এই দুই প্রকৃতিক উপাদান একদিকে যেমন ত্বকের ভিতরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে ত্বককে উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত করে তোলে। ফলে সৌন্দর্য বাড়ে চোখে পরার মতো।

১২। হাড় শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে
ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন-কে সমৃদ্ধি হওয়ার কারণে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে টমেটোর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো বুড়ো বয়সে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের হাত থেকে বাঁচতে এখন থেকেই টমেটো খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।

১৩। মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে এবং বয়সের ছাপ দুর করতে
টাটকা টমেটো কেটে টুকরো টুকরো করার পর সেগুলো থেকে রস করে নেন। তারপর এই রসের সাথে খানিকটা চিনি মেশান। এই চিনিমিশ্রিত রস প্রতিদিন মুখে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। এতে মুখের ত্বক মসৃণ ও কোমল হবে। বয়স বাড়তে থাকলে মানুষের মুখে যে বয়সের ছাপ পড়ে, এই টমেটো দেওয়ার ফলে সেই ছাপ লুকিয়ে যেতেও টমেটা সাহায্য করবে।

১৪। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা যে কোন রোগীর জন্য অনেক কঠিন একটা সমস্যা। তাই এখন থেকে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি বা দুটি টমেটো খাবেন। সাথে কিছু চিনিও মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সাহায্য করবে।

১৫। রক্ত স্বল্পতা দূরীকরণে
যারা রক্ত স্বল্পতা বা এনিমিয়ায় ভুগছেন, তাদের জন্য টমেটো বেশ উপকারী একটি সবজি বা ফল। একটি আপেল, একটি টমেটো এবং ১৫ গ্রাম তিল একসাথে খাবেন। প্রতিদিন এক বা দুইবার খেতে পারেন। এতে রক্ত স্বল্পতার সমস্যা অনেকটাই দূর হতে পারে।

১৬। ক্ষত রোগ নিরাময়ে
আমাদের অনেকের মুখগহ্বরে মাঝে মাঝে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা অনেকের হয়ে থাকে। আমি মনে করি এখন থেকে আর চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। টমেটো রস আমাদের সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় একবার করে টমেটোর রস খান। দেখবেন, দিন কয়েকের মধ্যে মাথার ক্ষত দূর হয়ে যাবে।

১৭ হেপাটাইটিসের নিরাময়ে
টমেটোর এই গুণের কথা বলার মাঝে আমি আপনাদের একটি মজাদার খাবার রান্না শিখিয়ে দেব। এ খাবারের নাম ‘সবজি চাল স্যুপ’। এমন নাম শুনছেন, এই ডিশের প্রধান উপাদান হচ্ছে, টমেটো, সেলারি, গাজর এবং চাল। এ ছাড়া, পরিমাণমতো লবণ দিতে পারেন। এই ডিশ হেপাটাইটিসের নিরাময়ে খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

১৮। সর্দি-কাশি প্রতিরোধে
সর্দি-কাশি গ্রীষ্মকালে বেশি দেখা যায়। গ্রীষ্মকালে সর্দি-কাশি লাগাটা স্বাভাবিক। টমেটো আপনাকে এ থেকে রক্ষা করতে পারে। এক বা দুটি টমেটো নিয়ে স্লাইস করে অল্প চিনি বা অল্প লবণ দিয়ে পাত্রে গরম করে স্যুপ তৈরি করুন। তারপর গরম গরম খেয়ে নিন। সর্দি-কাশিতে উপকার পাবেন।

১৯। জ্বরের নিরাময়ে সহায়ক
গায়ের তাপমাত্রা নানান কারণে বাড়তে পারে। কিন্তু কারণ যা-ই হোক, তাপমাত্রা বাড়লেই আমরা বলি ‘জ্বর হয়েছে’। শরীরে ইনফেকশন হলে গায়ের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তখন অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হতে পারে। কিন্তু সামান্য জ্বর হলে অনেক সময় স্রেফ টমেটো খেলেই আরাম পেতে পারেন। এক্ষেত্রে টমেটোর রসের সাথে তরমুজের রস মিশিয়ে খাবেন। ঘন্টায় ঘন্টায় একটু একটু করে খেতে থাকুন। উপকার পাবেন জ্বর থেকে।

২০। মাড়ি থেকে রক্তপাত নিয়ন্ত্রণে
আপনার মাড়ি থেকে যদি রক্তপাত হয়, তবে আপনার ভিটামিন সি-এর অভাব আছে। যাদের মাড়ি দিয়ে রক্তপাত হয়, তাদের অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে, প্রতিদিন একটি করে টমেটো খেলে দিন পনের পর দেখবেন রক্তপাত আপনা-আপনি বন্ধ হয়ে গেছে।

২১। স্ট্রোক প্রতিরোধে
টমেটার গুন অনেক। এই টমেটোর পুষ্টিগুণ মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়ায়, যা স্ট্রোক প্রতিরোধ করে। যখন মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়, তখন স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যদি বংশে এই ধরনের রোগের প্রবণতা থাকে, তবে নিয়মিত টমেটো খাওয়া উচিত।
ড. উজ্জল কুমার নাথ
প্রফেসর
কৌলীতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
ময়মনসিংহ