সর্বশেষঃ

টিপুকে হত্যার পাঁচ দিন আগে কন্ট্রাক্ট পায় শুটার মাসুম

রাজধানীর শাহজাহানপুরে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতিকে হত্যার ঘটনায় মাসুম মোহাম্মদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে সে ভাড়াটে খুনি।

গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, রোববার বগুড়া পুলিশের সহযোগিতায় সেখান থেকে মাসুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। টিপুকে হত্যার জন্য পাঁচ দিন আগে কন্ট্রাক্ট পেয়েছিল শুটার মাসুম মোহাম্মদ। আর ঘটনার ৩ দিন আগে পেয়েছিল টিপুর ছবি। তবে কারা হত্যার কন্ট্রাক দিয়েছিল তা জানায়নি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

তিনি আরো বলেন, হত্যার ঘটনার পর জয়পুরহাট পালিয়ে যায় মাসুম। সেদিক দিয়ে সীমান্ত পার হয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিল। কিন্তু যেতে না পেরে বগুড়া আসে। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, টিপুকে যেদিন হত্যা করা হয়, এর আগেরদিনও তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল শুটার মাসুম। ওই দিন সফল না হলেও গত ২৪ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে গুলি করে হত্যা করা হয় জাহিদুল ইসলাম টিপুকে। এ সময় নিহত হন ঘটনাস্থলের পাশে রিকশায় থাকা প্রীতি নামের এক কলেজছাত্রী। আহত হন টিপুর গাড়িচালক মুন্না।

এ কে এম হাফিজ আক্তার আরো জানান, টিপুকে গুলি করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে শুটার মাসুম। হত্যায় তার সাথে তার এক সহোযোগিও ছিল। এছাড়া মাসুমের বিরুদ্ধে রয়েছে একটি হত্যা মামলাও।

এদিকে ঘটনার পর নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম বাদী হয়ে শুক্রবার সকালে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।

এসময় বাদী মামলার অভিযোগে জানান, তার স্বামী মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে দলীয় কোন্দল ছিল। তিনি আরো উল্লেখ করেন, হত্যার চার পাঁচ দিন আগে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতকারীরা মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকিও দেয়।

পুরনো দুটি হত্যাকাণ্ড, ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ে বিরোধ, এলাকার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব, এজিবি কলোনিতে দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধসহ নানা বিষয় নিয়ে টিপুর একাধিক শত্রু ছিল। তবে কারা তাকে হত্যার জন্য কন্ট্রাক্ট করেছিল তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না গোয়েন্দারা।