সর্বশেষঃ

ড. মোমেনকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন, সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি

কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় পরস্পরের সহযোগী হয়ে কাজ অব্যাহত রাখার বিষয়ে নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার সন্ধ্যায় (বাংলাদেশ সময়) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল আর পম্পেও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনকে ফোন করে এ বিষয়ে আলাপ করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। যদিও যদিও স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রেসনোটে মন্ত্রীর নাম মাসুদ বিন মোমেন লেখা হয়েছে)। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে পম্পেওর ফোনালাপের কথা নিশ্চিত করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও পুনরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদানের মধ্য দিয়ে মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের পর করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায়ও অসাধারণ ভূমিকা রাখছেন।
একইসঙ্গে ইউএস-বাংলাদেশের মধ্যেকার বিদ্যমান সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
করোনা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এ যাবত ৪৩ মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্র প্রদান করেছে বাংলাদেশকে-এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পম্পেও বলেন, করোনা রোধে চলমান ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্যে আন্তর্জাতিক উদ্যোগে বাংলাদেশের সাড়া এবং চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা-সরঞ্জাম প্রদানের ব্যাপারটিও সর্বত্র প্রশংসিত হচ্ছে।
এসময় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঠাঁই দেওয়ার জন্যে ড. মোমেনসহ বাংলাদেশ সরকারের উদারতার প্রশংসাও করেন।
এ সময় পম্পেও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের জন্যে মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে এ যাবত বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র ৮২০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে। রোহিঙ্গারা যেন নিজ বসতভিটায় সম্মানের সাথে নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরতে সক্ষম হন এমন চেষ্টায় ত্রুটি করবেন না বলেও একমত পোষণ করেন দুই মন্ত্রী।
টেকসই উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক স্থিতিকে স্থায়ী করতে তথ্যপ্রবাহ অবাধ এবং সকল কাজে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার গুরুত্বের বিষয়েও দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনা করেন বলে জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।