সর্বশেষঃ

দরিদ্র দেশে নয়, ইউক্রেনের শস্য যাচ্ছে ইউরোপে

ইউরোপীয় দেশগুলির জন্য ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তার অভিযোগ, দরিদ্র দেশগুলির নামে চুক্তি হলেও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে ইউক্রেনের শস্য। বুধবার ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানকে আগ্রাসন বলে আসছে পশ্চিমাবিশ্ব। এর জেরে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে তারা। নিষেধাজ্ঞা থেকে বাদ যাননি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনও।

তবে শুরু থেকেই ইউক্রেনকে নব্য নাৎসীবাদের হাত থেকে মুক্ত করতে এই অভিযান, বলছে মস্কো। বুধবার ভ্লাদিভস্তকে ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে আবারও একই দাবি করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

এসময় ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব আরও শক্তিশালী হয়েছে বলে মন্তব্য করেন পুতিন।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, সারা বিশ্বে মেরুকরণ ঘটছে। আমি বিশ্বাস করি যা ক্ষতিকর এবং যা আমাদের এগিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছে তা কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করা হবে। এক্ষেত্রে আমাদের পদক্ষেপের উদ্দেশ্য সার্বভৌমত্বকে শক্তিশালী করা।

পশ্চিমাদের কড়া সমালোচনা করে পুতিন বলেন, পশ্চিমারা নিষেধাজ্ঞা ‘জ্বরে’ ভুগছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে ইউরোপের সাধারণ মানুষ। ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্যের বেশির ভাগ দরিদ্র দেশের বদলে ইউরোপে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন পুতিন।

ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, শস্য রপ্তানি চুক্তিতে পৌঁছাতে রাশিয়া সবকিছু করেছে। আমরা চুক্তির সব শর্ত মেনে চলছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। দরিদ্র দেশগুলির স্বার্থের অজুহাতে যে চুক্তি করা হয়েছিল তা ভঙ্গ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পণ্যবাহী ৮০টি জাহাজ ইউক্রেন ছেড়ে গেছে, কিন্তু এরমধ্যে কেবল দুইটি দরিদ্র দেশে পৌঁছেছে, বাকি সব গেছে ইউরোপে।

বিশ্বে চলমান জ্বালানি সংকটের জন্যও পশ্চিমাদের দায়ী করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে নর্ড স্ট্রিম ওয়ান পাইপলাইন বন্ধ করেছে, এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পুতিন বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণেই পাইপলাইন সংস্কার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।