সর্বশেষঃ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো ভয়াবহ রূপ দেখছে কিয়েভ

কিয়েভে রাশিয়ার সামরিক ‘ভয়াবহ’ রকেট হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে টুইটারে এ নিন্দা জানান তিনি।

টুইটারে দিমিত্রি কুলেবা জানান, রাশিয়া কিয়েভে রকেট হামলা চালাচ্ছে। শেষবার আমাদের রাজধানী এ রকম ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখেছিল ১৯৪১, সালে যখন জার্মানির নাৎসি বাহিনী আক্রমণ করেছিল।

টুইটারে তিনি আরও লেখেন, ইউক্রেন সেই ঘৃণ্যতাকে পরাজিত করেছিল। এবারও এটিকে পরাজিত করবে। পুতিনকে থামান। রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করুন। সব বন্ধন কঠোর করুন। রাশিয়াকে সব জায়গা থেকে বের করে দিন।

শুক্রবার সকাল থেকেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিবিসির খবরে জানা গেছে, রাশিয়ার বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ভণ্ডুল করে দিয়েছে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তারা শক্রুপক্ষের একটি বিমানও ভূপাতিত করেছে।

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডার্নাৎস্কি জেলায় একটি নয়তলা ভবনের ওপর রাশিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ওই ঘটনায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

কিয়েভে থাকা সিএনএনের একটি দল জানিয়েছে, কিয়েভ শহরের কেন্দ্রস্থলে দুটি বোমা বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। আরেকটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে কিছুটা দূরের এলাকায়।

ইউক্রেনে রাশিয়ার পুরোদমে সেনা অভিযান শুরুর প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দেশটিতে সামরিক-বেসামরিক অন্তত ১৩৭ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কি যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে, ইউক্রেনের উত্তরের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিজেদের দখলে নিয়েছে রাশিয়ান সেনারা। বেলারুশ থেকে কিয়েভ যাওয়ার অন্যতম শর্টকার্ট চেরনোবিল। রাশিয়ান সেনারা সেখানকার কর্মীদের আটক করেছে বলে জানা গেছে। রয়টার্স জানায়, চেরনোবিলের নিষিদ্ধ এলাকায় জড়ো হওয়ার পর আরও ভেতরে অগ্রসর হতে থাকে রাশিয়ান সেনারা।