সর্বশেষঃ

প্রিমিয়ার লিগ আবার শুরুর উদ্যোগ, বিসিবির ভাবনায় কক্সবাজার

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট
প্রায় চার মাস পর আজ (বুধবার) ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাউদাম্পটন টেস্ট দিয়ে মাঠে ফিরেছে ক্রিকেট। এতে অনুপ্রাণিত হয়ে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) আবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট (ডিপিএল) শুরুর উদ্যোগ নিচ্ছে। সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ জানিয়েছেন, লিগ শুরুর কাজ করছেন তারা, আর ভেন্যু হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে কক্সবাজার কিংবা বিকেএসপিকে।

ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ এবং ম্যাচ অফিসিয়ালদের বাড়তি ভ্রমণ এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে স্টেডিয়ামের সঙ্গে আবাসন সুবিধা আছে, এমন দুটি ভেন্যু বেছে নিয়েছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। সাউদাম্পটন ও ম্যানচেস্টারে ভেন্যুর পাশে পাঁচতারকা হোটেল সুবিধা থাকায় এই দুটি ভেন্যুতে ঘুরেফিরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই সিরিজের ৬টি টেস্ট আয়োজন করছে তারা।

ইংল্যান্ডের দেখানো পথেই হাঁটতে চাইছে বিসিবি। করোনার কারণে প্রিমিয়ার লিগ প্রথম রাউন্ড শেষে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বাকি রাউন্ডগুলো মাঠে গড়ানোর উদ্যোগ নিলেও দিন-তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে পরের রাউন্ডগুলো কক্সবাজার কিংবা বিকেএসপিতে আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে সিসিডিএম। দুটি ভেন্যুর স্টেডিয়ামের কাছাকাছি থাকার জায়গা রয়েছে। ফলে করোনা সংক্রমণ এড়িয়ে মাঠের খেলায় খুব একটা সমস্যা হবে না ক্রিকেটারদের।

এ ব্যাপারে সিসিডিএমের চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ বলেছেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) আমরা কোয়াব এবং বেশ কয়েকজন জাতীয় দলের ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। বৈঠকে আমরা প্রিমিয়ার লিগ কবে শুরু করা যায়, সেটি নিয়ে আলাপ করেছি। তবে এই মুহূর্তে কোনও তারিখ চূড়ান্ত না হলেও ক্লাবগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রিমিয়ার লিগ দিয়েই খেলা শুরু হওয়ার বিষয়টি। সব ক্লাব ১৫ দিনের নোটিশে লিগ শুরুর প্রস্তুতি রাখবে।’

কক্সবাজার ও বিকেএসপি- দুটি ভেন্যু বিবেচনায় রাখার কারণ ব্যাখ্যায় কাজী ইনামের বক্তব্য, ‘ঢাকায় ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে আইসোলেশনে রাখা অসম্ভব। তাই আমরা কক্সবাজার কিংবা বিকেএসপিতে ক্রিকেট লিগের খেলাগুলো দেওয়ার প্রস্তাব করেছি। এই দুটি ভেন্যুতে ক্রিকেটার এবং ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের আইসোলেশনে রাখা যাবে। কারণ এই দুই ভেন্যুর সঙ্গে আবাসন সুবিধা আছে।’

সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘কক্সবাজারে খেলা হলে সেখানে দুই-তিনটা হোটেলে রাখব। ঢাকা থেকে আকাশপথে ক্লাবগুলোকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। এই দুই ভেন্যুতে সব খেলোয়াড়ের থাকা ও খাওয়ার বিষয়টি নিরবিচ্ছিন্নভাবে সাজানো যাবে।’

গ্লোবাল টাইম ২৪ডটকম