সর্বশেষঃ

প্রি-পেইড পদ্ধতিতে নতুন গ্যাস সংযোগ আবাসিকে

অবশেষে দীর্ঘ ৭ বছর বন্ধের পর আবারও চালু হচ্ছে ‘আবাসিক খাতে’ গ্যাস সংযোগ। শুরু হয়েছে এই সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরির কাজ। নতুন সব সংযোগই প্রি-পেইড পদ্ধতির হবে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি সচিব।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি গ্যাস বিতরণ সংস্থার দুর্নীতি বন্ধ করা না গেলে, টেকসই জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দুরূহ হবে।
প্রাকৃতিক গ্যাসের সংকটে ২০০৯ সালে আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ করেছিল সরকার। পরের বছরগুলোতে সীমিত আকারে কিছু সংযোগ দেয়া হলেও, ২০১৩ থেকে একেবারেই বন্ধ এই প্রক্রিয়া।
দীর্ঘদিন পর গৃহস্থালিতে আবারো গ্যাস সংযোগ উন্মুক্তের পথে এগোচ্ছে জ্বালানি বিভাগ। জানা গেছে, করোনার কারণে শিল্প ও বাণিজ্য খাতে কাঙিক্ষত সম্প্রসারণ হবে না আগামী দিনগুলোতে। অন্যদিকে, কাতার ও ওমান থেকে দেশে প্রতিনিয়তই আমদানি হচ্ছে এলএনজি। এ অবস্থায় নতুন করে আবাসিকে গ্যাস দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন জ্বালানি সচিব আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আবাসিক খাতে খুব বেশি গ্যাসের প্রয়োজন হয় না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছি। প্রাথমিকভাবে তথ্য উপাত্ত দিয়েছি। মৌখিকভাবে সম্মতি পেয়েছি।’
মন্ত্রণালয় বলছে, দেশে এখন আর আগের মতো গ্যাস সংকট নেই। নীতিমালা চূড়ান্ত হলে ধাপে ধাপে বিতরণ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে গ্যাস পাবেন বাসা বাড়ির গ্রাহকরা।
জ্বালানি সচিব আনিছুর রহমান বলেন, ‘ধাপে ধাপে দিবো। একবারে দিব না। এবং প্রত্যেকটা সংযোগ হবে প্রিপেইড।’
বিতরণ সংস্থার দুর্নীতি বন্ধ করা ও নিজস্ব গ্যাস উৎপাদন না বাড়াতে পারলে জ্বালানি ব্যবস্থাপনা টেকসই হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে জ্বালানি খাত বিশ্লেষকদের।
জ্বালানি বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে দরকার নিজস্ব জ্বালানির উপর নির্ভর করা। গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে যেটি এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এটা বন্ধ করতে হবে।’
নতুন সংযোগ বন্ধ থাকায় দেশব্যাপী গড়ে ওঠা লাখ লাখ অবৈধ আবাসিক সংযোগ এখন বৈধ হবার অপেক্ষায়।