সর্বশেষঃ

বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর: শেখ পরশ

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সারা জীবন এদেশের খেটে-খাওয়া, শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুই শ্রমজীবী মানুষের সম্মানে বাংলাদেশে মে দিবসকে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেন। সারা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর।

মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের প্রতি যুবলীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানিয়ে দেয়া শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে সারা বিশ্বের নেতৃবৃন্দের সামনে মাথা উচু করে দীপ্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন, ‘বিশ্ব আজ দু’ভাগে বিভক্ত। এক দিকে শোষক, অন্য দিকে শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।’

শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, আজ মহান মে দিবস। সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে। আজকের এই দিন শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন, প্রতিষ্ঠার দিন। বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎস এই দিন। মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা আর শ্রমিকদের শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটানোর দিন এটি।

আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যুবলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী পথ চলে। তাই শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে যুবলীগ সব সময় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার শ্রমিকবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়নে সোচ্চার ছিল, আছে, থাকবে। সভ্যতা বিনির্মাণ হয় যাদের হাত ধরে, যুবলীগ তাদের শ্রদ্ধা করে, সম্মান করে। আজকের এই দিনে সভ্যতা বিনির্মাণের কারিগর যারা, আমাদের শ্রমজীবী মানুষগুলোর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

শুভেচ্ছা বার্তায় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, মহান মে দিবস আজ। মাঠে-ঘাটে, কলকারখানায় খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে রক্তঝরা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস সৃষ্টির দিন। দীর্ঘ বঞ্চনা আর শোষণ থেকে মুক্তি পেতে ১৮৮৬ সালের এদিনে বুকের রক্ত ঝরিয়েছিলেন শ্রমিকরা।

শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষই হচ্ছে দেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যেই নিহিত রয়েছে দেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা ‘রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।