সর্বশেষঃ

বরগুনার চাল চোর আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রক্ষা করতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নানামুখী বক্তব্যে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি

 

মোঃ জিয়াউল হক আকন,
বরগুনা থেকে ফিরে এসে

রাতের আঁধারে চাল চুরির সময় খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপ্লব এবং নৈশপ্রহরীসহ ৭ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে থাকে ডিবি পুলিশ। গত ৮ জুন গভীর রাতে এ অভিযান চালায় বরগুনার ডিবি পুলিশ। এসময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২২টি বস্তায় ৫৯৪ কেজি চাল এবং আলামত হিসেবে বেশ কিছু উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আরও বেশ কয়েকজন খাদ্যগুদাম থেকে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ঘটনার বিস্তারিত জেনে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জাকির হোসেন তালুকদার বাদী হয়ে ৯ জুন মঙ্গলবার বরগুনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৬/২০২০।

৯ জুন বেলা ১ টায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক হোসেন এধরণের ঘটনার কথা অস্বীকার করে চাউল চুরির ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালান। এরপর থানা এবং স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে জানতে চাইলে তিনি গড়িমসি করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে বরিশাল সদরে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে ২০ টন চাউল চুরির সময় খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপ্লবকে র‌্যাব আটক করেছিলো। উল্লেখিত অভিযোগে খাদ্য অধিদপ্তরের ২৮/০৮/২০১৭ তারিখের ৮১৫ নং স্মারকে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা ১৯৮৫ এর বিধি ৩ এর (এ) ও( বি) মোতাবেক অদক্ষ ও অসাধারণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দেখানো হয়।তিরস্কার দন্ড প্রদান পূর্বক বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তি সিদ্ধান্ত গৃহীত দেয়া হয়। দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের জন্য লুঘু দন্ডে দণ্ডিত হলে এমন কর্মকর্তাকে দণ্ড প্রদানের তারিখ হইতে তিন বছর পর্যন্ত গুদামে নিয়োগ দেয়া যাবে না দন্ডে উল্লেখ্য থাকে।

দুর্নীতিবাজ এই চাল চোর সুকৌশলে মোটা অংকের বিনিময়ে বারবার নিজেকে রক্ষা করে আসছে। তৎকালীন আরসি ফুড রেজা মোহাম্মদ মহাসিন মোটা অংকের বিনিময়ে বরগুনা খাদ্য গুদামের এল এস টি হিসেবে প্রদান করেন।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বরগুনা খাদ্যগুদামের চাল চুরির ঘটনায় মিডিয়ায় প্রচারিত সংবাদের বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে যে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে তাহাতে প্রায় ৯২ টন চাল কম পাওয়া যায়।

এই প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রথম সকালের স্টাফ রিপোর্টার জিয়াউল হক জানতে চেয়ে প্রতিবেদন কমিটির আহ্বায়ক মোঃ তাজুল ইসলাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরিশাল কে ফোন দিলে তিনি জানান চূড়ান্ত প্রতিবেদন এখনো প্রস্তুত করা হয়নি তদন্ত চলমান, এ বিষয়ে মোঃ বোরহান রসায়নবিদ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরিশাল বিভাগ কে বারবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ না করায় তার সাথে যোগাযোগ হয়নি।
এই প্রতিবেদনের বিষয়ে নব যোগদানকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ আবু বকর জানান, আমাকে কোনো প্রতিবেদন বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি তবে সরেজমিনে তদন্ত করে যে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে তাহাতে বড় ধরনের
ঘাবলা রয়েছে।তিনি আরো জানান পুনরায় তদন্ত করার জন্য আগামী কালকের থেকে নতুন একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ কার্যক্রম শুরু করবেন।

বিশেষ সূত্র জানায়, বরগুনা খাদ্যগুদামে যে পরিমান চাউল থাকার কথা, তা নেই। সূত্রের দাবী, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করলে বিপুল পরিমান চাউল চুরির ঘটনা বেরিয়ে আসবে।