সর্বশেষঃ

বরিশালে পরিবহনে চাঁদাবাজি: ওয়ার্ড আ’লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ৪

পন্যবাহী পরিবহন থেকে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে নগরীর কালিজিরা বাজার এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে হামলা এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের চারজন আহত হয়েছে।

এরা হলেন- ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা এবং একই এলাকার বাসিন্দা জসিম মাতুব্বরের ছেলে জুয়েল মাতুব্বর (২৫), একই এলাকার মৃত মুজাফ্ফর মুন্সির ছেলে রায়হান মুন্সি (৩৫)।, ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী মনির ও রাজিব মল্লিক। এদেরকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল-ঝালকাঠি’র সীমান্তবর্তী কালিজিরা বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহত রায়হান মুন্সি জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে কালিজিরা বাজার এলাকায় অস্থায়ী কার্যালয় বসিয়ে চাঁদা উত্তোলন করে আসছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান হোসেন বাপ্পি ও তার সহযোগিরা।

বিষয়টি নিয়ে কালিজিরা এলাকায় ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ফলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন হাওলাদার চাঁদা তোলার বিষয়টি নিয়ে বিরোধীতা করেন। এ নিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।

এর ধারাবাহিকতায় রোববার সকালে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন হাওলাদার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যাতে চাঁদা তুলতে না পারে সে বিষয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী রায়হান মুন্সি, রাজিব, রুবেল, পলাশসহ কয়েকজনকে নির্দেশ দেন।

তার নির্দেশে ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী মনির সকল ব্যবসায়ীদের চাঁদা দিতে নিষেধ করেন। এতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি ক্ষিপ্ত হয়ে সহযোগিদের নিয়ে মনিরের ওপর হামলা করে।

এ নিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনুসারীদের মধ্যে পরবর্তীতে সংঘর্ষ হয়। এসময় দুই পক্ষ ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করে। এক পর্যায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের চারজন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।

তবে এই ঘটনায় প্রতিপক্ষ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান হোসেন বাপ্পি’র বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে, ঘটনার পরে কোতয়ালী মডেল থানা’র এসআই শহিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বাধিন পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধিন নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নেন।

এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে কোন পক্ষই এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।