সর্বশেষঃ

বাংলাদেশে চীনের ভ্যাকসিন পরীক্ষার প্রস্তাব, ‘হিংসাত্মক’ সংবাদ ভারতীয় মিডিয়ায়

ভারতের সঙ্গে চীন যখন মারমুখী অবস্থানে তখনই বাংলাদেশে করোনা ভ্যাকসিন পরীক্ষার প্রস্তাব দেয় চীন। করোনার এই মহামারিতে বাংলাদেশও তা নিতে আগ্রহ দেখায়।

তবে চীনের এমন প্রস্তাবে জ্বলে উঠেছে ভারতীয় মিডিয়া। তারা বাংলাদেশে চীনের ভ্যাকসিন পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ভারতের ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’ বাংলাদেশের প্রতি চীনের এই সহযোগিতাকে ভ্যাকসিন পরীক্ষা সফল না হওয়া ঈঙ্গিত দিয়ে বিতর্কিত খবর প্রকাশ করেছে।
সংবাদ মাধ্যমটি দাবি করেছে, চীনে এখন পর্যাপ্ত করোনা-রোগী না থাকায়, বাংলাদেশের চার হাজার মানুষের উপর ভ্যাকসিন পরীক্ষার প্রস্তাব করেছে। কারণ তারা এখন নিশ্চিত হতে পারেনি পরীক্ষায় সফল হবে কীনা। এছাড়াও পরীক্ষা সফল না হলে বা রোগীর দেহে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলে তার দায় কে নেবে? বলেও উল্লেখ্য করেছে তারা।

বিশ্লেষকরা বলছে, ভারত হিংসাত্মক মনোভাব থেকেই এর ধরণের সংবাদ প্রকাশ করছে। যেহেতু চীনের সঙ্গে ভারতে সংঘাত চলছে, আর এদিকে বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াচ্ছে। এটাও নিয়ে হতাশায় ভুগছে দেশটি। তাই বাংলাদেশের প্রতি চীনের সব সহযোগিতা বিতর্কিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যমটি, স্বাস্থ্য কর্তাকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, চীনে এখন পর্যাপ্ত করোনা রোগী নেই। জুনের গোড়ায় বেজিংয়ে যে ৩০০ নতুন সংক্রমিতের হদিশ মিলেছিল, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে কোনোভাবে তা সংক্রমিত হয়েছিল। তাই তারা বাংলাদেশের রোগীদের ওপর পরীক্ষা চালাতে চাচ্ছে, যদিও সফল না হলে এর দায়ভার কে নিবে সেটা নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলেনি দুই দেশের কর্তা ব্যক্তিরা।

আনন্দবাজার দাবি করেছে, চীনের সিনোভ্যাকের সঙ্গে একযোগে বাংলাদেশি করোনা রোগীদের উপর সম্ভাব্য-ভ্যাকসিনের পরীক্ষাটি তাঁরা করতে চান বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত ‘আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র’।
বাংলাদেশের রোগীদের উপরে ভ্যাকসিন পরীক্ষা করে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হলে, দায় কে নেবে বা ক্ষতিপূরণ কারা মেটাবে, অনেকেই নানা মাধ্যমে সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন। সরকার এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানায়নি। তবে করোনা-সংক্রমণ হু-হু করে বেড়ে চলেছে বাংলাদেশে বলেও দাবি করেছে আনন্দবাজার।