সর্বশেষঃ

বিশ্বযোগ পরমাণু চুক্তি কার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্রকে শর্ত দিলো ইরান

পরমাণু চুক্তি কার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্রকে শর্ত দিলো ইরান
ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবিত করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ প্রয়োগ ও সংঘাতের পথ পরিহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইরাভানি।

ইরানের পার্সটুডে জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন।

ইরানের পরমাণু সমঝোতা এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব সম্পর্কে আলোচনা করতে নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের এ স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের জন্য চাপপ্রয়োগ, সংঘাত কিংবা ভীতি প্রদর্শন কোনো সঠিক পন্থা নয়।

মার্কিন সরকার যদি সত্যিই ওই সমঝোতা আবার কার্যকর করতে চায় তাহলে তাকে কূটনীতিতে ফিরে আসতে হবে। পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবন বিষয়ক ভিয়েনা সংলাপ আবার চালু করার ব্যাপারে তেহরানের আগ্রহের কথাও জানান আমির সাঈদ ইরাভানি।

২০১৫ সালের জুলাই মাসে আমেরিকাসহ ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা সই করে ইরান। ওই সমঝোতা অনুযায়ী ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে কিছু সীমাবদ্ধতা আরোপের বিনিমেয় তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় পাশ্চাত্য। সমঝোতাটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব হিসেবে পাস হওয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইনের মর্যাদা পায়।

তবে মার্কিন সরকার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ২০১৮ সালের মে মাসে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের ওপর আগের প্রত্যাহার করা সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার পাশাপাশি ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ ঘোষণা দেয়।

এদিকে, আমেরিকার বাইডেন প্রশাসন ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের আগ্রহ প্রকাশ করা সত্ত্বেও তেহরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতি অনুসরণ করে যাচ্ছে। এ সম্পর্কে ইরাভানি বলেন, পরমাণু সমঝোতা আবার কার্যকর করতে হলে এটি অকার্যকর হয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজতে হবে।

২০১৮ সালের ৮ মে মার্কিন সরকার এটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণেই এই সমঝোতা অকার্যকর হয়ে পড়েছিল।