সর্বশেষঃ

যে দেশের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি

চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ থামাতে গত কয়েকদিনে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা ব্যাপক তৎপর ছিল। সবচেয়ে সক্রিয় ছিল তুরস্ক, ইরান, কাতার, মিসর। এছাড়া চীন, রাশিয়া ও মালয়েশিয়াও মৃত্যুনগরীতে পরিণত হওয়া গাজার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।

অবশেষে ১১ দিন পর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বিরতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এল। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার (২০ মে) দিবাগত রাতে ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে। এর আগে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যু কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের অবস্থান বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচিত ছিল।
কিন্তু কার মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত এল? ইসরায়েল বার বার যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আসছিল। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় দেশসহ কারো কথাই পাত্তা দিচ্ছিল না ইসরায়েল। অন্যদিকে হামাসও যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল। তবে হামাস চেয়েছিল যুদ্ধবিরতি হোক। কিন্তু তারা ঘোষণা করে ইসরায়েলের হামলায় তারা চুপ থাকবে না। অতঃপর মিসরের নিঃশর্ত প্রস্তাবে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে গেল ইসরায়েল।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ মে) রাত ২টা থেকে যুদ্ধবিরতি হতে পারে বলে হামাসের কর্তৃপক্ষের একজন এই খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে।
গত ১০ মে থেকে ২০ মে গাজায় বোমা হামলা ও গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েল। এতে ২৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬৫টি শিশু রয়েছে। এছাড়া হামাসের রকেটে ১২ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা ও হামাসের রকেট হামলা বন্ধে শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর চাপ বাড়ে। এর আগে বাইডেন প্রশাসন আভাস দিয়েছিল যে চলতি সপ্তাহে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে।
বুধবার (২০ মে) এক ফোনালাপে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমিয়ে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হতে নেতানিয়াহুকে বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত ১০ মে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দুনেতার মধ্যে এটি চতুর্থ ফোনালাপ বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।