সর্বশেষঃ

শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৩ মাসে ১০১ রোগীর মৃত্যু

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগী মৃত্যুর সেঞ্চুরি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৬ জনসহ এ পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ১০১ জন রোগীর মৃত্যু হলো। যার মধ্যে ৩৭ জনের করোনা পজেটিভ। অধিকহারে রোগী মৃত্যুর জন্য করোনা ওয়ার্ডের চিকিৎসাহীনতাকে দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা।

তাদের দাবী, করোনা ওয়ার্ডে নামমাত্র চিকিৎসা হয়। ডাক্তাররা রোগীর কাছেই যান না। কোন রোগীর অবস্থা খারাপ হলেও ডাক্তার ডেকে পাওয়া যায় না। বিশেষ করে শ্বাসকষ্টের রোগীদের ফেলে রাখা হয় অক্সিজেন এবং আইসিইউ সেবা ছাড়া।

ডাক্তারদের তদারকির অভাবে একের পর এক রোগী মারা যাচ্ছে বলে দাবি ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসা নেয়া রোগীদের স্বজনদের।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত ১৭ মার্চ থেকে এক জুলাই পর্যন্ত শের-ই বাংলা মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে মোট ৬শ’ ৮৫ জন রোগী ভর্তি হয়। এর মধ্যে ২৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৬জন সহ মোট ১০১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে করোনা ওয়ার্ডে। যার মধ্যে ৩৭ জনের করোনা পজেটিভ।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সদর উপজেলার চাঁদপাশার বৃদ্ধ আ. সত্তার (৮০), সকাল সোয়া ৭টায় নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের জুমির খান সড়কের বৃদ্ধ রনজিৎ কুমার দে (৭০), গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় ঝালকাঠী সদরের ভিরসেনা গ্রামের আবুল কালাম খান (৫৫), ওইদিন রাত পৌঁনে ৮টায় মাদারীপুরের কালকিনির সাহেববাসর এলাকার বিকাশ দে (৪৫), মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে বরগুনার মাবনা পূর্বসফিপুর গ্রামের বৃদ্ধ গোলাম মোস্তফা (৬০) এবং একই দিন দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ফুলঝড়া গ্রামের বৃদ্ধ আ. সালাম (৬০)।

শের-ই বাংলা মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে গত ২৯ মার্চ প্রথম এক রোগীর মৃত্যু হয়। সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত গত ৩ মাসে ১০১ জন রোগীর মৃত্যু হলো।

এ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪শ’ ৬৬ জন। এর মধ্যে ১শ’ ৮৫ জন ছিলেন পজেটিভ এবং নেগেটিভ ছিলেন ২শ’ ৮১ জন।

সবশেষ বুধবার বিকেল পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১২৭ জন রোগী। এর মধ্যে ৬৩ জনের করোনা পজেটিভ।