সর্বশেষঃ

সিটি মেয়রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা নগরবাসীর শত্রু!

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ যারা বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, তারা নগরবাসীর ক্ষতি করছে। ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেদের স্বার্থে মেয়রের বিরুদ্ধাচরণ করছে। তারা চাচ্ছে মেয়রের বিরোধীতা করে রাজনৈতিক ফয়দা লুটতে, সেই সাথে সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রমকে বাধার মুখে ফেলতে। যাতে করে নগরবাসী নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। পাশাপাশি সিটি মেয়রের শক্ত রাজনৈতিক বলয় ভেঙ্গে দেয়ারও চেষ্টা করছে ষড়যন্ত্রকারীরা। গত ১৮ আগস্টের ঘটনার পর থেকে মেয়র বিরোধীদের এমন কার্যক্রম স্পষ্ট বলে দাবি করেন নগরীর একাধিক প্রবীণ নাগরিক।

নগরবাসীর ভাষ্যমতে- শুধু ১৮ আগস্টের পর থেকে নয়, ষড়যন্ত্রকারীরা সব সময়ই সিটি মেয়রের বিরুদ্ধে নিরবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছিলো। যে কারনে মেয়র নগরবাসাীর জন্য স্বাভাবিক ভাবে কাজ করেতে পারেননি কখনই। মেয়র নগরবাসীর জন্য ভালো কোন কাজ করতে গেলেই তারা সেই কাজের বিরোধীতা করতো পিছন থেকে। যদিও সকল ষড়যন্ত্রের প্রাচির ভেঙ্গে মেয়র নগরবাসীর জন্য একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে আসছিলেন। কোন ভাবেই যখন নগর উন্নয়নের চলমান কাজ থেকে মেয়রকে থামাতে পারছিলেন না, ঠিক তখনই তারা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে। অবশ্য অনেকটা সফলও হয় ষড়যন্ত্রকারীরা। ষড়যন্ত্র করে মেয়রসহ দলীয় নেতাকর্মী এবং সিটি কর্পোরেশনের কর্মতর্কা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দিতেও সক্ষম হয় তারা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে- ১৮ আগস্টের ঘটনার মধ্য দিয়ে সিটি মেয়র সাদিকের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের বিষয়টি স্পট হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বিতর্কিত বিবৃতি দিয়ে মেয়রকে ঘায়েল করার চেষ্টা চালানো হয়। যা নিয়ে দেশব্যাপি সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড বিষয়টি আমলে নিলে সেই ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় মেয়র সাদিক। এদিকে ভিতরে ভিতরে আগেই সাদিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জাল বুনছিল যে সব নেতাকর্মীরা ১৮ আগস্টের ঘটনার পর প্রকাশ্যে আসে তারা। ফলশ্রুতিতে বিসিসির গুটি কয়েক বিতর্কিত কাউন্সিলররা সাক্ষাৎ করেন স্থানীয় সাংসদের সাথে। তাও বরিশালে নয় ঢাকায় গিয়ে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মেয়র বিরোধীরা তাকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন লেখা ও ছবি পোষ্ট করে। সাক্ষাতের ছবিটি দিয়ে স্থানীয় সাংসদের অনুসারী মামুন নামের এক ছাত্রলীগ নেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখেন- ‘‘খেলা শুরু’’। এরপর থেকেই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে।

নগরবাসীরা বলেন- ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেদের স্বার্থে নগর উন্নয়নের চলমান কাজ থেকে সিটি মেয়রকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে। যে কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নগরবাসী। সিটি মেয়র একে একে নগরীর প্রায় সকল সড়কেরই উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মহামারি করোনা রোগের পাশাপাশি ডেঙ্গু নিধনে নানামুখী পরিকল্পনা ও উদ্যোগ হাতে নিয়েছিলেন তিনি। যে কারনে নগরবাসীকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হতে হয়নি।

উল্লেখ্য- করোনা মহামারি থেকে নগরবাসী রক্ষায় ৬৪টি কেন্দ্রে বুথ খুলে টিকা প্রদান কার্যক্রম চালানো হয়। টিকা গ্রহণের মানুষের চাপ কমাতে নগরীর আমানগতগঞ্জ হোলিং বেরী রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, নগরীর কালীবাড়ি রোডের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, কাউনিয়া নগর মাতৃসদন কেন্দ্র, নগরীর কালীজিরা বেসরকারি সাউথ এ্যাপোলো মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিসিসির এনক্স ভবন এবং নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে এই টিকা প্রদান করা হয়।

অন্যদিকে মহামারি করোনা রোগের পাশাপাশি সম্প্রতি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী নিয়ে বিভাগের জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু মুক্ত রয়েছে ঘনবসতিপূর্ণ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকা। এডিস মশার বংশ বিস্তার প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে বর্ষা মৌসুমের আগে এপ্রিল-মে মাসে ৩০টি ওয়ার্ডের খাল-ড্রেন-ডোবা-নালা পরিষ্কার করা, মশা ক্রাশ প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন এবং লার্ভা নিধনে হ্যান্ড স্প্রে কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ বরিশাল নগরীকে ছুতে পারেনি বলে মত প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, সিটি এলাকায় ৩০টি ওয়ার্ডে বসবাসরত ৬ লক্ষাধিক নাগরিকের স্বাস্থ্য সেবার দিক বিবেচনায় রেখে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ডেঙ্গু মশা নিধনে আগেভাগেই হাতে নিয়েছিলেন নানামুখী পরিকল্পনা ও উদ্যোগ। যার দরুন খুব সহজেই ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পায় নগরবাসী।