সর্বশেষঃ

সুইডেন, ফিনল্যান্ড নেটোতে গেলে বাল্টিকে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের হুমকি রাশিয়ার

সুইডেন ও ফিনল্যান্ড যদি যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোতে যুক্ত হয় তাহলে রাশিয়াকেও পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনসহ বাল্টিক অঞ্চলে নিজের প্রতিরক্ষা আরও জোরদার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ।

ইউক্রেইনে মস্কোর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার সঙ্গে এক হাজার ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত থাকা ফিনল্যান্ড এবং তার প্রতিবেশী সুইডেন নেটোতে যোগ দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

নেটোতে যোগ দেবে কি দেবে না, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বুধবার ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন জানান।

এর প্রতিক্রিয়ায় মেদভেদেভ বলেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড নেটোতে যোগ দিলে ওই অঞ্চলে সামরিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে রাশিয়াকে বাল্টিক সাগরে তার স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীর শক্তি বাড়াতে হবে।

রাশিয়া সেখানে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে পারে, স্পষ্ট ভাষায় এ হুমকিও দিয়ে তিনি বলেন, সুইডেন, ফিনল্যান্ড নেটোতে গেলে ‘পরমাণু মুক্ত’ বাল্টিক নিয়ে আর কোনো কথা হবে না।

বাল্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত, পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার মাঝে ‘স্যান্ডউইচ’ হয়ে থাকা রুশ ভূখণ্ড কালিনিনগ্রাদ, মস্কোর জন্য কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

“সুইডেন, ফিনল্যান্ড নেটোতে গেলে বাল্টিকের পরমাণু মুক্ত অবস্থা নিয়ে কোনো কথা হতে পারে না, ভারসাম্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতেই হবে।

“আজ পর্যন্ত রাশিয়া এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, নিতে চায়ওনি। কিন্তু কেউ যদি আমাদের বাধ্য করে… মনে রাখবেন, আমরা এমনটা করার প্রস্তাব দিইনি,” বলেছেন ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট থাকা মেদভেদেভ।

ইউক্রেইনকে ‘নিরস্ত্র’ ও ‘নাৎসিমুক্ত’ করার লক্ষ্যে রাশিয়া ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে যে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করেছে, তা এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, উদ্বাস্তু করেছে লাখ লাখ মানুষকে। এ অভিযান একই সঙ্গে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিস্তৃত সংঘাতের আশঙ্কাও সৃষ্টি করেছে।

পুতিন বলেছেন, রাশিয়াকে হুমকি দিতে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে ইউক্রেইনকে ব্যবহার করছিল তাতে ইউক্রেইনে অভিযান জরুরি হয়ে পড়েছিল।

রুশ ভাষাভাষীদের ইউক্রেইনের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষায় মস্কোকে নামতে হয়েছে, বলেছেন তিনি।

আর ইউক্রেইন বলছে, তারা সাম্রাজ্যবাদী কায়দায় জমি দখলের বিরুদ্ধে লড়ছে। ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলে কিইভ গণহত্যা চালাচ্ছিল বলে পুতিন যে অভিযোগ করেছেন তাকে ‘আজেবাজে কথা’ বলেও উড়িয়ে দিয়েছে তারা।