সর্বশেষঃ

১৫ দিন পরপর দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব

সয়াবিন তেলের সরবরাহ ঠিক রাখতে ১৫ দিন পরপর দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেছেন, বিশ্ববাজারে প্রতিদিন সয়াবিন তেলের দাম ওঠানামা করছে। আর দেশে এক–দেড় মাস পরপর দাম সমন্বয় করা হয়। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৫ দিন পরপর সয়াবিনের দাম সমন্বয় করতে হবে। বিশ্ববাজারে দাম কমলে কমাতে হবে। আর দাম বাড়লে বাড়াতে হবে।

এ ছাড়া সয়াবিনের আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেন জসিম উদ্দিন। একই সঙ্গে আগামী কোরবানি পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে পরিশোধিত বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেল আমদানি উন্মুক্ত করা এবং সান ফ্লাওয়ার, ক্যানোলাসহ সব ধরনের ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক ও কর প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনার সুপারিশ করেন।

রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে গতকাল বুধবার এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে ভোজ্যতেলের আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। সভায় সয়াবিন পরিশোধনকারী কোম্পানির প্রতিনিধি, বেশ কয়েকজন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী, রাজধানীর কয়েকটি বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘সয়াবিন তেলের সংকটের পেছনে কারসাজি করেছেন খুচরা ব্যবসায়ী ও পরিবেশকেরা। তাঁদের কারসাজির কারণেই বাজারে তেলের সংকট তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করাটাই ছিল আমাদের ভুল।’

এ প্রসঙ্গ তুলে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘ঈদের আগে হঠাৎ করে বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও হয়ে গেল। আপনি (খুচরা ব্যবসায়ী) বললেন, তেল নাই। এখন সরকারি কর্মকর্তাদের অভিযানে গুদাম থেকে তেল বের হচ্ছে। এতে পুরো ব্যবসায়ী সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।’