সর্বশেষঃ

বিশ্বযোগ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো কিয়েভ

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুতিনের ‘সন্ত্রাসবাদের’ অভিযোগের পর একাধিক ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো রাজধানী কিয়েভ।

সোমবার (১০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল আটটার দিকে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর দেড় ঘণ্টা আগে সাইরেন বাজিয়ে শহরবাসীকে সতর্ক করা হয়।

ইউক্রেনের জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষ বলছে, এ হামলায় বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।

কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো জানান, শহরের কেন্দ্রে শেভচেনকিসভস্কি জেলায় একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

গত কয়েকমাসে এই প্রথমবারের মতো কিয়েভে হামলা চালানো হলো। তবে আগের হামলার তুলনায় এগুলো শহরের কেন্দ্রস্থলের অনেক কাছে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাশিয়ার সাথে ক্রিমিয়াকে সংযোগকারী একমাত্র সেতুটিতে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দুই দিন পর কিয়েভে এই হামলার ঘটনা ঘটলো।

এর আগে ক্রিমিয়া সেতুর বিস্ফোরণের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে একে ‘সন্ত্রাসী তৎপরতা’ বলে আখ্যা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এ ঘটনার জন্য ইউক্রেন দায় স্বীকার না করলেও ক্রেমলিনের তরফ থেকে অবিলম্বে পাল্টা পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ রাশিয়ান কর্মকর্তারা।

ক্রিমিয়া সেতুতে হামলার জন্য দায়ী ‘সন্ত্রাসীদের’কে হত্যা করার আহবান জানিয়েছেন রাশিয়ান স্টেট কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে কিয়েভের আকাশে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। কিয়েভে অবস্থিত বিবিসির সাংবাদিকরা বলছেন, শহরের কয়েকটি জায়গায় মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে।

এছাড়াও ইউক্রেনের অন্যান্য শহর থেকেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। যুদ্ধের প্রাথমিক কয়েক সপ্তাহের পর এটিকে সবচেয়ে বিস্তৃত হামলা বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রোববার (৯ অক্টোবর) জাপোরিজঝিয়ায় কমপক্ষে ১২টি মিসাইল হামলার অভিযোগ রয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। শহরটির একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে মিসাইল হামলায় ১৩ জন নিহত ও ৮৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

এদিকে, ক্রিমিয়া সেতুর বিস্ফোরণ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি না হলেও ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।