সর্বশেষঃ

সিরিয়ায় ত্রাণ পাঠানোর তুর্কি প্রস্তাবে চীন-রাশিয়ার ভেটো

সিরিয়া সরকারের অনুমতি ছাড়া দেশটিতে ত্রাণ পাঠানোর প্রস্তাব উঠে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে। তুরস্কের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব তোলা হয়। এই প্রস্তাবে সরাসরি ভেটো দিয়েছে চীন ও রাশিয়া। দীর্ঘদিন যাবত সিরিয়া ও তার মিত্ররা বলে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ ত্রাণ সহায়তার আড়ালে সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসন করছে।
এত দিন বিষয়টি নিয়ে খানিক লুকোচুরি ভাব আর অভিযোগ উড়িয়ে দেয়া হলেও এবার ঘটলো ভিন্ন ঘটনা। এই প্রস্তাবে যখন সিরিয়ার সরকারের অনুমতি না নেয়ার কথা বলা হয়েছে তখন এই অভিযোগ আরো বেশি যৌক্তিক হয়ে ওঠেছে।
প্রস্তাবটির খসড়ায় বলা হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুমোদন ছাড়াই দু’টি সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ছয় মাসের জন্য সিরিয়ায় মানবিক ত্রাণ পাঠানো যাবে। এটিকে সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের প্রতি অশ্রদ্ধা বলে মনে করেন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশ্লেষকরা।
শুক্রবার রাতে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয় এই প্রস্তাব নিয়ে। এতে চীন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেন। এ নিয়ে তৃতীয়বার চীন ও রাশিয়া সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনকারী প্রস্তাবে ভেটো দিল।
বেশ কিছুদিন ধরেই নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়া বিষয়ক এই প্রস্তাব অনুমোদনের চেষ্টা করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রাশিয়া এটির তীব্র বিরোধিতা করে বলে আসছিল, সিরিয়া বিষয়ক যেকোনো সিদ্ধান্ত বাশার আল-আসাদ সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে করতে হবে যাতে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে বিঘ্ন না ঘটে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা এক প্রতিবেদনে বলছে, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিকে ইসরাইলের অনুকূলে বদলে দেয়ার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা। সৌদি আরব ও ইসরাইলের আঞ্চলিক মিত্ররা ২০১১ সাল থেকে সিরিয়ার ওপর সহিংসতা চাপিয়ে দিয়ে আসছে। যার প্রধান পৃষ্ঠপোষক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৩ সালের পর দেশটির সরকার বেশ কিছু অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারায়। তবে রাশিয়া-চীন ও ইরানের সহযোগিতায় দেশটির সেনাবাহিনী পুনরায় দেশের প্রায় সব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছে।