ভারতকে আবারও করুণা করবে চীন?
গত সপ্তাহে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-চীন সীমান্ত। এই উত্তাপ যুদ্ধ পর্যন্ত গড়াবে কিনা, তা নিয়ে এখন চলছে নানা বিচার বিশ্লেষণ। এবার কী হবে সেটা পরের বিষয়, কিন্তু ১৯৬২ সালে একতরফাভাবেই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল চীন। সেই যুদ্ধে জয়লাভও করেছিল মাও সে তুং এর দেশ। এরপরই জয়ের পরেও চীন এক আশ্চর্য কাজ করে বসে। পুরো অরুনাচল প্রদেশ নিজেদের দখলে নিয়েও সেটা ভারতকে ফিরিয়ে দেয়।
বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন, অনেকটা করুণা করেই এই কাজটা করেছিল চীন। তারা হয়তো ভাবতে পারেনি, ভারত এক এক সময় এত শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
এবার লাদাখের ক্ষেত্রে কী ঘটবে সেটা নিয়ে এখন চলছে নানা বিশ্লেষণ। আন্ত্ররজাতক পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলছেন, পুরো লাদাখই হয়তো নিজেদের দখলে নিয়ে যাবে ভারত। আবার আরেক অংশ বলছেন, এবারো হয়তো ভারত ককুতি মিনতি করে করুণা আদায় করে নেবে।
বিশ্লেষকরা বলেন, পুঁচকে ভারতকে চীন নিজের সমকক্ষই ভাবে না। কারণ সামরিক শক্তিতে ভারত চীনের চেয়ে বহু পেছনে।
১৯৬২ সালের যুদ্ধে জয়ী হয়ে একতরফা যুদ্ধবিরতি জারি করেছিল চীন। আকসাই চীন নিজের দখলে রেখে অনেকটা করুণা করেই অরুণাচল প্রদেশ ফিরিয়ে দিয়েছিল ভারতকে। এবার লাদাখের দিকে চীন হাত বাড়ালে ভারত তার দখল রাখতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। সেক্ষেত্রে ভারত আবারও করুণা পায় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।