সর্বশেষঃ

অপচয় কমাতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

অপচয় কমিয়ে আনতে দীর্ঘ মেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। মন্ত্রী আরো জানান, দেশে ফিরে আসা প্রবাসী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজে লাগানোরও নির্দেশনা দিয়েছেন সরকার প্রধান।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, বারবার ব্রিজ-কালভার্ড নির্মাণ করলে জাতীয় অপচয় হয়। তাই দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ করতে হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম সভায় নতুন ৭টিসহ ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩টি আন্ডারপাস ও পদুয়ার বাজারে ইউলুপ নির্মাণে ব্যয় হবে ৫৬৮ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম জানান, ভুল পরিকল্পনার মাধ্যমে বুড়িগঙ্গা নদীতে বছিলা সেতু নির্মাণ করায় নৌ চলাচলে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এ জন্য এটি ভেঙে ফেলার চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

২ হাজার ১৫০ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। বাকি ৪২৫ কোটি টাকার সংস্থান হবে ঋণের মাধ্যমে।

প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য নির্দেশনার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদনকালে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েতে অন্ডারপাস ও ইউলুপ নির্মাণ, প্রকল্প অনুমোদনকালে সংস্কার ও নতুন সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণে ইউলুপ এবং আন্ডারপাসের ব্যবস্থা রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, যাতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকে। এখন থেকে যত রাস্তঘাট করা হবে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে মানুষ ও যানবাহন চলাচলে কোনো বিঘ্ন না ঘটে। সড়ক বিভাগকে এই নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

একনেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কে ০৩টি আন্ডারপাস এবং পদুয়ার বাজার ইন্টারসেকশনে ইউলুপ নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদন পায়। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৮.৯৩ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন হবে।

সভায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আয়রণ ব্রিজ পুন:নির্মাণ/পুনর্বাসন’ প্রকল্পের ১ম সংশোধনী অনুমোদন করা হয়। এ প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি ১৮৩৫ কোটি টাকার ব্যয় বাড়িয়ে ২৩৩৪ কোটি টাকা করা হয়েছে।

এ প্রকল্প অনুমোদনকালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা এখন অনেক সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করছি। কিন্তু সেগুলো অনেক নিচু করে নির্মাণের কারণে নৌযান চলাচলে সমস্যা হয়। এজন্য সেতু এবং কালভার্ট সঠিক উচ্চতায় নির্মাণ করতে হবে। বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে কারণ, পানি কখনও বাড়ে কখনও কমে। এতে নৌযান চলাচল যাতে কোনভাবেই বিঘ্নিত না হয়।

এ ব্যাপারে নৌপরিবহন ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি কার্যকর সমন্বয়ের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে-সেখানে বালুমহাল গড়ে না তোলার বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।