সর্বশেষঃ

আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে আর্মেনিয়ার হামলা

বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গানজায় গোলাবর্ষণ করেছে আর্মেনিয়ার বাহিনী।

নাগোরনো-কারবাখ ছিটমহলটি সরকারিভাবে আজারবাইজানের অংশ হলেও আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর লোকজন অঞ্চলটি শাসন করে আসছে। এখানকার স্বঘোষিত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজারবাইজানি বাহিনী তাদের রাজধানী স্তেপানাকের্তে গোলাবর্ষণ করার পর তারা গানজার সামরিক বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে।

রোববার সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, আর্মেনিয়ার বাহিনীগুলো গানজা শহরে গোলাবর্ষণ করেছে, এতে এক বেসামরিক নিহত ও আরও চার জন আহত হয়েছেন।

গণমাধ্যমে আসা ফুটেজে ধ্বংস হয়ে যাওয়া কয়েকটি ভবনও দেখা গেছে।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জাকারি হাসানোভ এ হামলাকে ‘পরিষ্কারভাবে উস্কানিমূলক’ বলে অভিহিত করে এতে লড়াই আরও বিস্তৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।

এই বিবৃতির পর প্রতিবেশী দেশটির ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে আর্মেনিয়া। কিন্তু পরে নাগোরনো-কারাবাখের নেতা আরায়িক হারুতিউনিয়ান জানিয়েছেন তারা গানজায় হামলা চালিয়েছেন। শহরটির বেসামরিক বাসিন্দান্দের মৃত্যুর এড়ানোর জন্য তারা গোলাবর্ষণ বন্ধ করে দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নাগোরনো-কারাবাখের কর্তৃপক্ষ বলেছে, আর্মেনিয়ার বেসামরিকদের ওপর হামলা চালাতে গানজা সামরিক বিমানবন্দর ব্যবহার করছিল আজারবাইজানের বাহিনীগুলো, তাই সেটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

তারা জানায়, স্তেপানাকের্তে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর এ পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।

বার্তা সংস্থা আর্মেনপ্রেস জানিয়েছে, স্তেপানাকের্তে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে অনেক লোক নিহত হয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়া শহরটির বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।       

এক সপ্তাহ আগে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বেসামরিকসহ দুই শতাধিক লোক নিহত হয়েছে।

১৯৯০ এর দশকের পর থেকে এবারই পক্ষদুটির মধ্যে সবচেয়ে তীব্র লড়াই চলছে। এটি ক্রমেই একটি বিস্তৃত অঞ্চলিক লড়াইয়ে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করছে। আর্মেনিয়ার সামরিক মিত্র রাশিয়া ও আজারবাইজানের ঐতিহ্যগত মিত্র তুরস্কের এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পাড়ে, এমন আশঙ্কা ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে।