সর্বশেষঃ

ইরানকে চাপে ফেলতেই ইসরাইলের অব্যাহত হামলা

ইরানকে চাপে ফেলতেই সম্প্রতি সিরিয়ায় বিমানবন্দরগুলোতে হামলার তীব্রতা জানিয়েছে ইসরাইল। আঞ্চলিক কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

আঞ্চলিক কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ইসরাইল সম্প্রতি সিরিয়ায় বিমানবন্দরগুলোতে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে। হিজবুল্লাহসহ সিরিয়া ও লেবাননের মিত্রদের কাছে অস্ত্র সরবরাহে ব্যবহৃত ইরানের বিমানগুলোকে বাধা দিতেই এই হামলা চালানো হচ্ছে।

স্থলপথে স্থানান্তর বাধাগ্রস্ত হওয়ার পর তেহরান সিরিয়ায় তাদের বাহিনী এবং মিত্রদের কাছে সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে আরও নির্ভরযোগ্য উপায় হিসেবে আকাশ পথ বেছে নিয়েছে।

ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়ায় তার শত্রু ইরানের প্রবেশকে একটি জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখে আসছে এবং তেহরানের এই নতুন পরিবহন পদ্ধতিতে আঘাত হানতেই তাদের হামলার পরিধি প্রশস্ত করছে বলে কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় বুধবার রাতে আপেল্পো বিমানবন্দরে ইসরাইলের চালানো সর্বশেষ হামলাটি ইরান থেকে একটি বিমান আসার প্রাক্কালে চালানো হয় বলে এই ঘটনার সঙ্গে পরিচিত ইরান-সমর্থিত আঞ্চলিক জোটের একজন কমান্ডার রয়টার্সকে জানান।

ইসরাইল দামেস্ক বিমানবন্দরেও হামলা চালিয়েছে। সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও সরঞ্জামের ক্ষতি হয়েছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে।

একটি পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, একটি কার্গো বিমানের অবতরণ ঠেকানোও এই হামলার লক্ষ্য ছিল।

ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র এই প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

এদিকে, ইসরাইল আগুন নিয়ে খেলছে বলে বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মেকদাদ।

সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, দামেস্কের কাছে এবং আলেপ্পোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরাইলি হামলার পর তেল আবিবকে নিয়ে এই অভিযোগ করেন তিনি।

এছাড়া সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাজধানীর চারপাশে বেশ কয়েকটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলেও সানার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়ে।

অবশ্য ওই দাবির ব্যাপারে ইসরাইলের তরফ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলা হয়নি।

বেশ কয়েক বছর ধরে সিরিয়ায় হামলা জোরদার করেছে ইসরাইল। ইরান-সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবন্তুতে হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করছে দেশটি। সিরিয়ায় লেবাননের হিজবুল্লাহসহ তেহরান সমর্থিত বাহিনী আসাদ সরকারকে বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করার জন্য মোতায়েন করেছে।