সর্বশেষঃ

কামরানকে মনে রাখেননি আরিফ

সিলেট ব্যুরো

কামরানকে মনে রাখেননি আরিফ!
বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও আরিফুল হক চৌধুরী

সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের মৃত্যুর পরপরই ফেসবুকে ঝড় ওঠছিলো- সিলেট সিটি করপোরেশন তথা নগর ভবনের সামনের পয়েন্টকে ‘কামরান চত্বর’ করার ‘ঘোষণা দিয়েছেন আরিফ’। এ নিয়ে আরিফের প্রতি ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনেকের ফেসবুকের টাইমলাইন ভরে ওঠছিলো সে সময়।

তবে সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সে সময় এক বক্তব্যে বলছিলেন, সিটি পয়েন্টকে কামরান চত্বর করার ঘোষণা আমি দেইনি। তবে আমিও প্রয়াত বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে ‘স্মরণীয়’ করে রাখতে চাই।

কিন্তু সেটি কোন প্রক্রিয়ায়- সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সকল কাউন্সিলরদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ’
আরিফুল হকের এমন বক্তব্যে আশায় বুক বেঁধেছিলেন কামরানভক্তসহ সিলেটের সর্বস্তরের মানুষ। কিন্তু নগর ভবনের সামনের পয়েন্টকে ‘কামরান চত্বর’ করার বিষয়টি মেয়র আরিফের ‘আশার বাণী’-তেই আটকে গেলো, দেখলো না আর আলোর মুখ।

রবিবার সন্ধ্যায় ‘নগর চত্বর’ হিসেবে এটির উদ্বোধন করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। যে চত্বরটি এতোদিন ‘সিটি পয়েন্ট’ নামে পরিচিত ছিলো।
সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান গত ১৫ জুন মারা যান। করোনাক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। পরদিন সোমবার তার মরদেহ সিলেটে এনে মানিক পীর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নির্বাহী সদস্য পদে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। আর সিলেট সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচনে তিনি মেয়র হয়েছিলেন। পরের দফায়ও একই পদে কারাগার থেকে নির্বাচিত হন কামরান। নিজের জীবনের প্রায় দুই ভাগ সময়ই (৪১ বছর) তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাটিয়েছেন।

১৯৫৩ সালে জন্ম নেয়া বদর উদ্দিন আহমদ কামরান মাত্র ১৯ বছর বয়সে ১৯৭২ সালে তৎকালীন সিলেট পৌরসভার কমিশনার নির্বাচিত হন। এরপর কমিশনার থেকে হন পৌরসভার চেয়ারম্যান। পৌর চেয়ারম্যান থেকে দু’বারের সিটি মেয়র।

সিলেটে ব্যাপক জনপ্রিয় কামরানের মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতি ধরে রাখার বিষয়ে জোরালো দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও সেই দাবিতে শামিল হন। সবার দাবির সাথে দ্বিমত করেননি বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীও। কামরানের স্মৃতি ধরে রাখতে ‘কিছু একটা করা হবে’ বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে দল-মত নির্বিশেষ সকলের প্রত্যাশা ছিলো- সিটি পয়েন্টকে উদ্বোধনের সময় ‘কামরান চত্বর’ হিসেবে ঘোষণা দিবেন আরিফ, কিন্তু সে আশার গুড়ে যেন বালি ঢেলে দিলেন বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী।

এ বিষয়ে আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলতে তার ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।