সর্বশেষঃ

জননেত্রী শেখ হাসিনা বাঁচলে দেশ বাঁচবে- মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ

স্টাফ রিপোর্টার ::
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। বরিশালে যে ম্যুরালটি আমরা উদ্বোধন করলাম, আমার জানা মতে এটি দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ম্যুরাল। পিতা এবং কন্যার মধ্যে যে ভালোবাসা তা এই ম্যুরালটির মধ্যে ফুটে উঠেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪ তম জন্ম দিন উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীতে দেশের সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ম্যুরাল উদ্বোধন, দোয়া মোনাজাত এবং আলোচনা অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেছেন।

এর আগে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত নগরীর সদর রোডস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনায় মিলাদ ও দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এর পর বরিশাল সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নগরীর সদর রোডস্থ শহীদ মিনার সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামের উত্তর পাশে বিভিন্ন রং-বেরংয়ের পাথর দিয়ে নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিনন্দন ম্যুরালোর উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

সিটি কর্পোরেশনের পতাকা উন্মোচনের মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ম্যুরালটি উদ্বোধন করা হয়। এসময় বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামের উপর থেকে ফুলের পাপড়ি আর বেলুন ছিটানো হয়। পাশাপাশি ম্যুরালটি উদ্বোধনের সাথে সাথে শহীদ মিনারের আকাশ নানান রংয়ের আতশবাজির ঝলকানিতে আলোকিত হয়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নাম সম্বলিত সেøাগানে মুখর হয় শহীদ মিনার এলাকা। সৃষ্টি হয় এক উৎসব মুখর পরিবেশ।

উদ্বোধন পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বর্তমান সময়ে সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন সমস্যা-সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘মেয়র হিসেবে আমার সময় মাত্র পাঁচ বছর। অর্থের অপচয় রোধ করে টেকসই উন্নয়নে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, ‘বরিশাল নগরীতে জোয়ারের পানি উঠে গোটা শহর তলিয়ে যায়। এর জন্য যে সমস্যা হয় তার দায়ভার মেয়র হিসেবে আমাকেই নিতে হবে। কারণ আমি জনগণের প্রতিনিধি। তবে কেন এই জোয়ারের পানি উঠছে তাকি আপনারা কখনো ভেবে দেখেছেন? আপনারা না করলেও মেয়র হিসেবে আমি এই সমস্যার গোড়া উন্মোচন করেছি। সমস্যা সৃষ্টির কারণ শহরের মধ্যে ড্রেজিং করে জলাশয় ভরাট করণ। পাশাপাশি নগরীর প্রতিটি ড্রেন ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়েও জলাবদ্ধতা তৈরি করেছে। সমস্যা সমাধানে নগরীতে ড্রেজিং এর পাইপ ঢোকানো বন্ধ করেছি।

প্রতিটি ড্রেন খুঁজে খুঁজে পরিষ্কার করা হয়েছে। আশা করছি এই সমস্যা ভবিষ্যতে আর থাকবে না।

মেয়র বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের অধিকাংশ কাজ হচ্ছে কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে। এসকল কাজের জন্য এখন পর্যন্ত কোন বরাদ্দ আমরা পাইনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন- আমার অর্থের প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র আমার শহরের উন্নয়ন কাজগুলো বাস্তবায়িত হলেই যথেষ্ট।

দুর্নীতির বিষয়ে সর্বোচ্চ কণ্ঠে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি নিজে দুর্নীতি করিনা, দুর্নীতিকে প্রশ্রয়ও দেই না। এর প্রমাণও আপনারা পেয়েছেন। আমি আমার ঘরের লোককেও ছাড় দেইনি। সিটি কর্পোরেশনকে দুর্নীতি মুক্তি করেছি। এখন কোন নাগরিক সেবা নিতে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছে না। আপনারা যদি কখনো আমার দুর্নীতি দেখতে পান তবে আমাকেও ছাড়বেন না।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া-মোনাজাতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম জাহাঙ্গীর হোসাইন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু, প্যানেল মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জাকির হোসেন মজুমদার-পিপিএম, বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম,অ্যাডভোকেট ইশতিয়াক কবির রকি সহ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, সিটি কাউন্সিলর, জেলা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং পৌর মেয়রসহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।