সর্বশেষঃ

জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টায় হামলাকারীর যাবজ্জীবন

চার বছর আগে লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টার দায়ে হামলাকারীর যাবজ্জীবন এবং আরও একজনকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত; চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মমিনুর রহমান টিটু জানান।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হলেন ফয়জুল হাসান। আর চার বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন তার বন্ধু সোহাগ মিয়া।
খালাস পেয়েছেন ফয়জুলের বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুল হক ও ভাই এনামুল হাসান।

রায়ের আগে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে আসামিদের সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।

২০১৮ সালের ৩ মার্চ বিকালে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠানে জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালায় মাদ্রাসা ছাত্র ফয়জুল হাসান।

এ ঘটনায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে ওই দিন রাতেই সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জালালাবাদ থানায় মামলা করেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মমিনুর রহমান টিটু সাংবাদিকদের বলেন, বিচারক ফয়জুলকে যাবজ্জীবন সাজা ছাড়াও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং সোহাগ মিয়াকে চার বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।


মামলার বাদী মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন রায়ের পর সাংবাদিকদের সন্তোষ্টির কথা জানান।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোতাহির আলী বলেন, দণ্ডের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন। খালাসপ্রাপ্তরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন।
২২ মার্চ উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মঙ্গলবার রায়ের দিন ঠিক করা হয়।

১০ মার্চ এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলার ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

২০১৮ সালের ২৬ জুলাই হামলাকারী ফয়জুল ও তার বাবা-মা, ভাইসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম।

ওই বছরের ৪ অক্টোবর মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়।