সর্বশেষঃ

দুই কোরিয়ার মিলনায়তন গুঁড়িয়ে দিল উ. কোরিয়া

ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্ত। দুই কোরিয়ার সংযোগ স্থাপনকারী সীমান্তবর্তী মিলনায়তন উড়িয়ে দিয়েছে কিম জং উনের সেনাবাহিনী। তবে কেউ হতাহত হয়নি। করোনাভাইরাস মহামারী শুরু হওয়ার পর জানুয়ারি থেকে অফিসটি খালি ছিল। শুধু তাই নয়, ডিমিলিটারাইজড জোন তথা অসামরিকায়িত অঞ্চলে সেনা পাঠানোর হুমকিও দিয়েছে পিয়ংইয়ং। দুই কোরিয়ার সম্পর্ক উন্নয়ন ও সংলাপের জন্য দুই বছর আগেই (২০১৮ সালে) সীমান্তবর্তী কেইসং শহরের কাছে অফিসটি খোলা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা অফিসটিকে দুই কোরিয়ার ‘ডি-ফ্যাক্টো দূতাবাস বা লিয়াজোঁ অফিস’ হিসেবেও অভিহিত করছিল। সংবাদ মাধ্যমকে পাঠানো মাত্র এক লাইনের এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ মন্ত্রণালায় জানিয়েছে, ‘স্থানীয় সময় বেলা ২টা ৪৯ মিনিটে কেইসং লিয়াজোঁ অফিস উড়িয়ে দিয়েছে পিয়ংইয়ং।’

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা জানায়, এদিন প্রচণ্ড জোরে বিস্ফোরণের শব্দের সঙ্গে সঙ্গেই ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা ‘কেইসং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’ এলাকা। তারপরই জানা যায়, কিমের বাহিনী লিয়াজোঁ অফিসটি উড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক দিন ধরেই এমন কিছু করার ইঙ্গিত মিলেছিল কিমের পক্ষ থেকে। ঘটনার মাত্র ৪৮ ঘণ্টা

আগেই কিম জং উনের বোন সরকারের প্রভাবশালী কর্মকর্তা কিম ইয়ো জং সোজাসাপটা ভাষায় হুমকি দিয়েছিলেন, শিগগিরই উত্তর ও

দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সংযোগকারী ‘পদার্থ যৌথ লিয়াজোঁ অফিস সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হবে।’

উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ বুধবার জানায়, ‘মঙ্গলবার ওই লিয়াজোঁ অফিসটি মারাত্মক বিস্ফোরণে শোচনীয়ভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। অমানুষ এবং যারা এ অমানুষদের আশ্রয় দিয়েছে, তাদের অপরাধের প্রতিদান হিসেবে এটা করা হয়েছে।’ বছরের পর বছর পক্ষ ত্যাগ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে আসা উত্তর কোরীয় নাগরিক এবং দক্ষিণের অ্যাক্টিভিস্টরা উত্তরের শাসন ব্যবস্থা ও এর নেতাদের সমালোচনা করে বেলুনের মাধ্যমে সমালোচনা ও বার্তা পাঠিয়ে আসছে। সম্প্রতি এ নিয়ে উত্তজনার জেরে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন কিম। বোন কিম ইয়ো প্রকাশ্যেই দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘শত্রু’ বলে অভিহিত করেন। শনিবার একটি সংবাদ সংস্থাকে কিম ইয়ো সাফ জানিয়ে দেন, ‘এখনই দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ করে দেয়া হোক। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক সেনাবাহিনী। দক্ষিণ কোরিয়ার কার্যকলাপের নিন্দা করে ঘন ঘন বিবৃতি দিয়ে লাভ নেই। ওইসব বিবৃতির ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। কেউ তাতে গুরুত্বও দিচ্ছে না।’ পরে আরও ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘জঞ্জালকে সবসময় ডাস্টবিনে ফেলাই ভালো। আমাকে দেশের সর্বোচ্চ নেতা, আমাদের দল এবং সরকার যে ক্ষমতা দিয়েছে, তার জোরে আমি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি। এবার তারাই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।’ মঙ্গলবারই উত্তরের সেনাবাহিনী জানায়, সরকারের যে কোনো পদক্ষেপ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে তারা প্রস্তুত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *