সর্বশেষঃ

বরিশালে অন্যের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ মডেল থানার এএসআই শরীফের বিরুদ্ধে

স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগ দেওয়াটাই যেন কাল হয়ে দাড়িয়েছে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের পশুরীকাঠী গ্রামের মৃত নাছির উদ্দিন হাওলাদের পুত্র মোটরসাইকেল চালক মো: মতিউর রহমান সুমনের। অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে ভূক্তভোগী সুমনের স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে লোভ-লালসা দেখিয়ে বিবাহ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানার এএসআই শরীফ এমন অভিযোগ করেন মো: মতিউর রহমান সুমন। এ সকল বিষয় নিয়ে ভূক্তভোগী সুমন এএসআই শরীফের বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগও করেছেন। যদিও এএসআই শরীফ তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে তার মানক্ষুন্ন করা হচ্ছে বলে দাবী করেন।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুমন তার স্ত্রীকে দিয়ে এএসআই শরীফের কাছে মোবাইল নাম্বারের উপর একটি অভিযোগ করান। সেই থেকেই সুমনের স্ত্রীর সাথে এএসআই শরীফের সাথে পরিচয় হয় এবং তার সাথে একাধিকবার মোবাইলে কথাবার্তা হয়। এমনকি তার স্ত্রীকে বিভিন্ন ধরনের লোভ-লালসা দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এরপর তার স্ত্রীকে আনতে গেলে তার সাথে খারাপ আচরণ করে এবং পুলিশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে সুমনের স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে নোটিশ পাঠায়। সুমন তার মেয়ে আনতে গেলে সাদা কাগজে তিনটি স্বাক্ষর রেখে মেয়ে দিয়ে দেয়। এরপর লোক সমাজে এসআই শরীফ তার স্ত্রীকে বিবাহ করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করে সুমন। এমনকি সুমনের শালাদের নতুন মোটর সাইকেলও কিনে দেয় এএসআই শরীফ।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়- স্ত্রী-সন্তান থকার পরেও সুমনের স্ত্রীকে লোভ-লালসা দেখিয়ে বিবাহ করে এএসআই শরীফ। বর্তমানেও সুমনের স্ত্রী এএসআই শরীফের বাসায় অবস্থান করছে বরে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগে ভুক্তভোগী সুমন আরও উল্লেখ করেন- সুমন তার স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়ে এএসআই শরীফের কাছে অভিযোগ দেয় কিন্তু শরীফ নিজেই তার স্ত্রীকে বিভিন্ন লোভ-লালসা দেখিয়ে বিবাহ করেন। এমনকি এএসআই শরীফের বিরুদ্ধে চরমোনাই ইউনিয়নে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়- স্থানীয়রা এএসআই শরীফের কাছে বিবাহের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন- সে আমাকে পছন্দ করে আমিও তাকে পছন্দ করি।

সর্বশেষ সুমন তার অভিযোগে উল্লেখ করেন- এএসআই শরীফ তার সংসার ভেঙ্গে দিয়েছে। পুলিশ কমিশনারের কাছে তিনি সঠিক বিচার চায়।

সকল অভিযোগ অস্বীকার করে কোতয়ালী মডেল থানার এএসআই শরীফ সাংবাদিকদের জানান, তার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। তার মানক্ষুন্ন করার জন্যই এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি সুমনের বিরুদ্ধে মানহানী অভিযোগ এনে আইনের আশ্রয় নিবেন।
তিনি আরও বলেন, সুমনের স্ত্রীকে আমি বিবাহ করতে যাব কেন ওই মহিলাওতো ভালনা।

এসকল বিষয়ে সুমনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- পুলিশ কমিশনার স্যার ও কোতয়ালী মডেল থানার এসি স্যারের কাছে অভিযোগ দিলে তার স্ত্রীকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এবং তার শালাদের যে মোটর সাইকেল দেয়া হয়েছিলো তাও নিয়ে গেছেন এএসআই শরীফ।

সুত্র: বরিশাল ক্রাইম নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *