বর্ণবাদী আন্দোলন উসকে দিচ্ছে চীন: পম্পেও
কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে সৃষ্ট আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছে চীন। এমন অভিযোগ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি বলেন, ব্যাপকভাবে বিক্ষোভের খবর প্রচার করে চীন বিষয়টির অপব্যবহার করছে।
শনিবার রাতে পম্পেও এক বক্তব্যে দাবি করেন, হংকং ও তিনেয়ানমেন স্কয়ারের বিক্ষোভকারীদের কঠোর হাতে দমন করেছে চীন। ওই খবর প্রচারকারী সাংবাদিকদের দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
পম্পেও আরও দাবি করেন, অথচ আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিককে হত্যাকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা সত্ত্বেও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে এবং বিক্ষোভকারীরা জনগণের জানমাল লুট করলেও তা প্রচার না করে শুধু বিক্ষোভের খবরই প্রচার করা হচ্ছে।
এছাড়া পম্পেও বলেন, চীনের যেসব সাংবাদিক ও ডাক্তার করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিলেন তাদেরকে চুপ করিয়ে দেয়া হয়েছে অথবা অপহরণ করা হয়েছে।
চীন করোনায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন রাখছে বলেও অভিযোগ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে ১২ দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।
এছাড়া কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, মেলবোর্ন, ব্রিসবেনেও বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আন্দোলনকারীরা অস্ট্রেলিয়ায় পুলিশ হেফাজতে আদিবাসীদের মৃত্যুর বিচারের দাবি করেছেন।
এদিকে ইউরোপের দেশ জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেনেও শনিবার বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যেও করোনা প্রকোপের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব না মেনে আন্দোলনকারীরা বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন।
গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ হেফাজতে মারা যান জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। সেইদিনই পুলিশ তাকে আটক করেছিলো। এরপর হাঁটু দিয়ে জর্জের গলা চেপে ধরেন পুলিশ। এভাবে অন্তত আট মিনিট তাকে মাটিতে চেপে ধরে রাখা হয়।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জর্জ ফ্লয়েড নিঃশ্বাস না নিতে পেরে কাতরাচ্ছেন এবং বারবার একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাকে বলছেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’
এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় মুহূর্তেই। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ডেরেক চাওভিনসহ চার পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। পাশপাশি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাওভিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাও দায়ের করা হয়।