সর্বশেষঃ

বহাল তবিয়তে কেন্দুয়ার ওসি রাশেদুজ্জামান

শফিকুল ইসলাম কুদ্দুস, নেত্রকোনা থেকে
নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানায় পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বহাল তবিয়েতেই আছেন। মামলা দায়েরের এক মাস সময়েও তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগে জানা যায়, জেলার কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গত ২৫ ফেব্রুয়ারী আইজিপি বরাবরে নানা অপকর্মের অভিযোগ করেন উপজেলার ছিলিমপুর গ্রামের স্থানীয় যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা। অভিযোগের অনুলিপি দেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি, নেত্রকোনা পুলিশ সুপার বরাবরে। এতে ওসি রাশেদুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে গোলাম মোস্তফাকে নানা ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন ওসি রাশেদুজ্জামান। অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে ২৮ এপ্রিল ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি বরাবরে কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন নানা অপকর্ম, ক্ষমতার অপব্যবহার, সাধারণ মানুষকে হয়রানীর অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের স্বাক্ষী হিসেবে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে লিখিত ও মৌখিক জবানবন্দি প্রদান করেন গোলাম মোস্তফা। এতে আরও ক্ষিপ্ত হন ওসি রাশেদুজ্জামান। গোলাম মোস্তফাকে মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করা হয়। পরবর্তী সময়ে গত ৪ জুন ছিলিমপুর গ্রামের এক সালিশ থেকে গোলাম মোস্তফাকে আটক করা হয়। এসময় ওসি রাশেদুজ্জামান অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। এতে উপস্থিত লোকজন বাঁধা দিয়ে প্রতিবাদকারী কয়েকজনকে আটক করা হয়। পরে কেন্দুয়া থানায় নিয়ে গিয়ে এটি রুমে গোলাম মোস্তফাকে হাত পা বেঁধে বেধরক মারপিট ও অমানষিক নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যান গোলাম মোস্তফা। পরে ৫ জুন গোলাম মোস্তফা ও ৮ জন স্বাক্ষীর বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে গোলাম মোস্তফার স্ত্রী রত্না আক্তার ওসি রাশেদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৮ জুন ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি, নেত্রকোনা পুলিশ সুপার ও ২১ জুন আজিপি বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন।
গত ৮ সেপ্টেম্বর গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আমলী আদালত কেন্দুয়া, নেত্রকোনায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও বহাল তবিয়তে আছেন ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান। কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, স্থানীয় একটি মহল তার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছে। তিনি কাউকে হয়রানী বা ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি।