সর্বশেষঃ

বাকেরগঞ্জে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার বিকেলে ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র কলসকাঠী বাজারে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার জেরে এ সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, বিএনপি’র লোকজন আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করেছে। অপরদিকে বিএনপি’র দাবি- আওয়ামী লীগের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন।

বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সমকালকে বলেন, হামলার খবর জেনে কিছুক্ষণ আগে তিনি কলসকাঠী বাজারে পৌঁছেছেন। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাংচুরের অবস্থা দেখেছেন। বিএনপি কার্যালয়ের খবর তিনি জানেন না।

বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শওকত হোসেন হাওলাদার অভিযোগ করেন, তিনিসহ তার কর্মীসমর্থকরা শনিবার বিকেলে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিয়াতলিতে একটি নির্বাচনী সভায় ছিলেন। সেখানে বসে খবর পান কলসকাঠী বাজারে তাদের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করছে আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ খবর জেনে তার কর্মী সমর্থকরা কলসকাঠী বাজারে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে তার ছেলে কামাল হোসেনসহ ৩ জন আহত হলে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পুলিশের অনুরোধে তিনি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বাজার ত্যাগ করে আবার সভাস্থলে ফিরে যান। এরপরে আওয়ামী লীগের হামলাকারীরা বিএনপি প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।

শওকত হোসেন জানান, বাকেরগঞ্জ শহর থেকে যাওয়া অর্ধশতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা একত্রিত হয়ে এ হামলা করে।

তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কলসকাঠী বাজারে তাদের শেষ নির্বাচনী প্রচার মিছিল চলকালে বিএনপির কর্মী সমর্থকরা আওয়ামী লীগের অফিস ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করেছে। এতে তার ৩ কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন ওয়াহিদ।

আগামী ২০ অক্টোবর কলসকাঠী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না ও বিএনপির প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি শওকত হোসেন হাওলাদার।