সর্বশেষঃ

‘ভারতে নয়, আসল অযোধ্যা নেপালে, রাম একজন নেপালি’

নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে.পি শর্মা অলি বলেছেন, “আসল অযোধ্যা ভারতে নয় নেপালে। ভগবান রাম একজন নেপালি। তিনি ভারতীয় নন।” অলির দাবি অনুযায়ী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ধর্মীয় স্থান অযোধ্যা নেপালে রয়েছে। ভারতে যেটি রয়েছে সেটি আসল অযোধ্যা নয়।
এর আগে ভারত নিজেদের বলে দাবি করা ভূখণ্ড কালাপানি আর লিপুলেখকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে নেপাল। এর জের ধরে ‍দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি হয়। এটিকে চীনের উষ্কানি বলেও অভিযোগ করে ভারত।
নেপাল ও ভারতের মধ্যকার সীমানা নির্ধারিত হয় ১৮১৬ সালের ৪ মার্চ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও নেপালের রাজার মধ্যে স্বাক্ষরিত সুগাউলি চুক্তির মাধ্যমে। এই দুই দেশের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার মুক্ত সীমান্ত রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার সীমানাজুড়েই নদী। সুগাউলি চুক্তি অনুসারে, নেপালের পশ্চিমে অবস্থিত মহাকালী নদীই হবে দুই দেশের মধ্যকার সীমানা।
আপাতদৃষ্টিতে সহজ এই সীমানায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে মহাকালী নদীর উৎস নিয়ে দুই দেশের নীতিনির্ধারকদের ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্বের ফলে। নেপালের দাবি, এই নদীর উৎপত্তি হয়েছে লিম্পিয়াধুরা থেকে। যে জায়গা লিপুলেখ থেকে পশ্চিম দিকে অনেক ভেতরে। অন্যদিকে ভারতের দাবি, মহাকালী নদীর উৎপত্তি হয়েছে লিপুলেখ থেকে।
এর বিপরীতে নেপাল বলছে, ভারত যে নদীকে মহাকালী নদীর উৎস বলছে, সেটি আসলে ওই নদীরই একটি উপনদী। এদিকে বিতর্কিত ভূখণ্ডটি পড়েছে দুটি নদীর মাঝখানে। ফলে চুক্তি অনুসারেই নেপাল লিপুলেখ গিরিপথকে নিজেদের দাবি করে আসছে। এদিকে ভারতও গত নভেম্বরে নিজেদের মানচিত্রে কালাপানি অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। নেপাল প্রতিবাদ জানালেও কোনো কর্ণপাতই করেনি তারা। নেপালের দাবি, ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর থেকে ভারত নেপালের সীমান্তবর্তী ভূখণ্ডে সেনাচৌকি বসানো শুরু করে।