সর্বশেষঃ

মোদিকে জেলেনস্কির ফোন, পাশে থাকার অনুরোধ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে শনিবার টেলিফোনে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ফোনালাপে মোদিকে ইউক্রেনের পাশে থাকার অনুরোধ জানান জেলেনস্কি। ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল মোদির সাথে যোগাযোগ করার চার দিন পর এ ফোনালাপে অংশ নিলো দেশ দুইটির সর্বোচ্চ নেতারা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনের চলমান সংঘাত পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে বিস্তারিত অবহিত করেন। চলমান সংঘর্ষে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করার এবং সংলাপে বসার জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং শান্তি প্রচেষ্টার দিকে যেকোন উপায়ে অবদান রাখতে ভারত ইচ্ছুক বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে কথোপকথনেও মোদি একইভাবে ‘অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করার’ আহবান জানান।

ভারতের প্রধান উদ্বেগ হল হাজার হাজার ভারতীয় ছাত্র এবং পেশাদারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যারা ইউক্রেনের ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে আটকে আছে। যদিও ভারত তার নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে। তবে চলমান লড়াই প্রক্রিয়াটির জন্য একটি গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, চলমান ইউক্রেন সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে ভারত তার মতামত প্রদান থেকে বিরত থেকেছে। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইউক্রেনের পাশে থাকার কথা বললেও ভারত এখন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে।

এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারী, ইউক্রেন সংঘাত এড়াতে ভারতীয় হস্তক্ষেপের জন্য শ্যামিহালের সাথে কথোপকথনের জন্য মোদিকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে ইউক্রেন উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য মোদির কাছে সুবিধাজনক সময়ও চাওয়া হয়েছে।

কিন্তু ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ শুরু হওয়ার পর, জেলেনস্কি সামরিক আইন জারি করেন এবং ইউক্রেনের একমাত্র নেতা হন। একজন বিশেষ ভারতীয় দূত যিনি উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেছিলেন তিনি দ্য হিন্দুকে ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রীকে জড়িত করার কোনো প্রয়োজন নেই কারণ এ পরিস্থিতিতে তার কোনো ক্ষমতা নেই।

সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় জেলেনস্কি বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন। ইউক্রেন রুশ আগ্রাসন প্রতিহত করার পথ সম্পর্কে অবহিত। ১ লাখেরও বেশি হানাদার আমাদের ভূমিতে রয়েছে। তারা আবাসিক ভবনে কৌশলে গুলি চালায়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আমাদের রাজনৈতিক সমর্থন দেওয়ার জন্য ভারতকে আহ্বান জানিয়েছে। একসাথে আগ্রাসীকে থামান।