সর্বশেষঃ

সংকট নিরসনে সমুদ্রপথে আসছে পিয়াজ

অনলাইন ডেস্ক
ভারত বাংলাদেশে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করার পর পিয়াজের বাজারে এক অস্তিরতা বিরাজ করছে। গতকাল সকাল থেকে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে পিয়াজ। খুচরা বাজারে পিয়াজ ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হলেও পাড়া-মহল্লায় সেটা ১১০-১২০ টাকা।

অথচ সোমবার দেশি পিয়াজের কেজি ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং আমদানি করা পিয়াজের কেজি ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

পিয়াজের বাড়তি দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা।

ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে পিয়াজের সংকট না থাকলেও ইচ্ছে করেই দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে পিয়াজের সংকটে দাম বেড়েছে।

এদিকে দেশে পিয়াজের বাজারে সরবরাহ সংকটের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সেপ্টেম্বর শুরু থেকেই মিসর, চীন, তুরস্ক, মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকে পিয়াজ আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা।

এ জন্য সরকারের কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংগনিরোধ বা কোয়ারেন্টিন দপ্তর থেকে গত সোমবার পর্যন্ত ৯ হাজার টন পিয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) সনদ নিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার এক দিনেই আরো ১০ হাজার ৭৪২ টন আমদানির অনুমতি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসছে মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকে। আর সব পিয়াজের চালান দেশে আসবে সমুদ্রপথে।

চট্টগ্রাম থেকে সবচেয়ে বেশি ৩ হাজার টন পিয়াজ আমদানির অনুমতি নেওয়া ট্রেড ইমপেক্সের ফারুক আহমদ বলেন, ‘অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে আমি চালানটি আনার চেষ্টা করছি।

অনুমতি নেওয়ার এক দিন পর ব্যাংক থেকে ঋণপত্র খুলেছি। জাহাজীকরণের পর চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাতে ১৪ দিন লাগবে। পাকিস্তান ও চীন দুই দেশ থেকেই বিভিন্ন চালানে পিয়াজ আসবে। জাহাজে তোলার পর বলতে পারব কখন চালানটি দেশে পৌঁছাবে।

গত বছরও ভারত হুট করে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছিল। এতে বাংলাদেশে পিয়াজের দাম বেড়েছিল হু হু করে। সেসময় খুচরা বাজারে রেকর্ড ৩০০ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি হয়েছে। এবার পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পরপরই দেশের খুচরা বাজারে দাম বাড়তে শুরু করেছে।
সূএঃগ্লোবাল টাইম২৪.কম।