সর্বশেষঃ

সুস্থ হয়ে মাদ্রাসায় ফিরলেন আহমদ শফী

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রায় এক সপ্তাহ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে মাদ্রাসায় ফিরলেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও আল-জামিয়াতুল দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আহমদ শাহ শফী।

সম্পর্কিত খবর
করোনা থেকে রক্ষা পেতে পাঁচ পরামর্শ দিলেন আহমদ শফী
সোমবার (১৫ জুন) বিকাল ৩টার দিকে শাহ আহমদ শফীর ছোট ছেলে ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মেডিকেল কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পাওয়ার পর পিতাকে নিয়ে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

গত ৭ জুন (রোববার) আহমদ শফীর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৮০ এর নিচে নেমে এসেছিল। তাই সেদিন সন্ধ্যার পর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। সেদিন অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় রাত ৮টার দিকে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছিল।

পরের দিন সকাল থেকে তার শ্বাসকষ্ট কমে আসে এবং রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা প্রায় ৯৭ এর ওপরে উঠেছে এবং শারীরিক অবস্থান উন্নতি হতে শুরু করে।

এরমধ্যে ৮জুন (সোমবার) আহমদ শাহ শফীর চিকিৎসার বিষয়টি সিদ্ধান্ত নিতে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ৭ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছিল। সেদিন দুপুর ১২টায় চমেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান ডা. রঞ্জন কুমার নাথ ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সুজত পালের নেতৃত্বে এই মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসেছিল।

পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহ শফীর জ্ঞান ফিরে আসে। জ্ঞান ফেরার পর তিনি প্রথমে চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য দোয়া করেন। তাদেরকেও তিনি তার জন্য দোয়া করতে বলেন। এছাড়া মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে শাহ শফীর বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়, কিন্তু তাতে খারাপ কিছু আসেনি।

প্রসঙ্গত, শাহ শফীর দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট এবং হজমজনিত সমস্যায় ভুগছেন।

বার্ধক্যের কারণে এ সব রোগ দিন দিন অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। ফলে তাকে ঘন ঘন হাসপাতালে ভর্তিও হতে হয়। চলতি বছরে এর আগেও কয়েক দফা অসুস্থ হয়ে তিনি বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *