সর্বশেষঃ

অসহায় মানুষদের নিরবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন এডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী

দেশে করোনা প্রকোপ এবং সরকারি নির্দেশে লকডাউন শুরু হলে কঠিন সংকটময় অবস্থার সম্মুখীন হতে হয় প্রত্যেক ব্যক্তিকে। বিশেষ করে যাদের সাহায্য চাওয়ার মতো সামাজিক অবস্থা ছিলনা এমন মধ্যবিত্ত, চাকুরীজীবীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর অবস্থা ছিল খুবই নাজুক। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত কর্মচারীদের সামাজিক অবস্থা কোন ক্রমেই ব্যতিক্রম ছিল না। আর্থিক দুর্দশা অতি গোপনে ব্যক্ত করা ব্যতীত দ্বিতীয় পথ খোলা ছিলনা তাদের। এমনই পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক ট্রেজারার নাহিদ সুলতানা যুথী। করোনা সংকটের পুরো সময়টা অতি গোপনে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে ছিলেন তিনি । নগদ অর্থ, বাজার, ঔষধ, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী থেকে শুরু করে যার যা প্রয়োজন ছিল সবই ব্যবস্থা করেন এডভোকেট যুথী। সুপ্রিম কোর্ট ও বারের প্রায় ৫০ জন কর্মচারীকে তিনি নিয়মিত দেখাশোনা করে গেছেন। কিন্তু তার কার্যক্রম পুরোটাই ছিল গোপনে। কারোনাকালে সোশ্যাল মিডিয়া ত্রাণের ফটোসেশন নিয়ে যেমন ঝড়ো বেগ ছিল তেমনি সমালোচনাও কমতি ছিল না। “ত্রাণ, দান বা সাহায্য কোনক্রমেই প্রচারণার অংশ হতে পারে না” অকপটে বললেন এডভোকেট যুথী। তার ভাষ্যে, “সংকটে-বিপদে-আপদে মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াবে, এতে প্রচার করতে হবে কেন? প্রচারে দাতা-গ্রহীতা উভয়ের সামাজিক অবস্থান নষ্ট হয়, মহৎ উদ্দেশ্যটাও ব্যাহত হয়”।

তিনি আরও জানান, করোনা সংকট আমাদেরকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। আত্ম অহংকার, ধন-সম্পত্তি থেকে জীবন অনেক মূল্যবান। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, মানুষের সেবা করা সত্যিকারে সৌভাগ্যের ব্যাপার। কারণ, আমি এমন অনেককেই চিনি যারা মুখ ফুটে সাহায্য চাওয়ার মতো সামাজিক অবস্থায় ছিল না, আমি আমার সাধ্য মতো চেষ্টা করেছি, ভবিষ্যতে এটা অব্যাহত থাকবে।

এডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর মানবিক গুণাবলি সর্বময় প্রশংসিত। তিনি বর্তমানে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ল’ এলামনাই এসোসিয়েশন (রুলা) এর প্রেসিডেন্ট। রুলার সদস্য আইনজীবী ব্যতীত যে কোন আইনজীবীর সংকটের এগিয়ে এসেছেন এডভোকেট যুথী। সার্বক্ষণিক আইনজীবীদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। তার সাহসী পদক্ষেপের কারণে করোনা মধ্যবর্তী সময়ে কোর্ট খোলার বিষয়টি পরিবর্তন হয়। করোনাকালে শুধুমাত্র আইন-অঙ্গনে নয়, নিজ এলাকায় ব্যাপক সাহায্য সহযোগিতা কার্যক্রম করেছেন তিনি। প্রায় পাঁচশতাধিক পরিবারের মাঝে নিয়মিত পৌঁছেছে তার ব্যক্তিগত উপহার।

এডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্‌ পরশ এর সহধর্মীনি। সম্প্রতি তাদের বিবাহবার্ষিকীর দিন ছিল। বিবাহবার্ষিকী এবং ঈদ আনন্দ কোনটাই পালন না করে মানুষের পাশে উভয় ছিলেন যার যার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে।

সুত্রঃ আজকের কাগজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *