সর্বশেষঃ

ডা. ফেরদৌসকে নিয়ে যত বিতর্ক

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা, ত্রাণ বিতরণ, সোশাল মিডিয়ায় সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রশংসিত হয়েছেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার। এবার তিনি দেশের মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাকে ঘিরে নানা তর্ক-বিতর্ক ভেসে উঠছে।

ফেরদৌস খন্দকার ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। তিনি মূলত নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে রোগী দেখতেন।

ডা. ফেরদৌস খন্দকার পড়াশুনা করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রদল করতেন এবং পরে বিএনপির সক্রিয় সমর্থক ছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগে ভেড়ার চেষ্টা করে সফল হন তিনি। ২০১৯ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পদ পান। তবে এ জন্য ২০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে পদ পেলেও এক মাস পরে সেখানকার তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপে ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মারা যাওয়া বাংলাদেশিদের দাফন এবং করোনাভাইরাস চিকিৎসায় ফেসবুকে সক্রিয় দেখা গেছে ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। নেটিজেনরা এমনটাই দাবি করছেন।

ডা. ফেরদৌস খন্দকারের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বারে। কেউ কেউ ফেসবুকে লিখছেন তিনি নাকি বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদের ভাতিজা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *