সর্বশেষঃ

তেহরানে মেডিকেল সেন্টারে বিস্ফোরণ, নিহত ১৯

ইরানের রাজধানী তেহরানের উত্তরে একটি মেডিকেল ক্লিনিকে বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। গ্যাস লিক করে ওই বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ৬ জন। মঙ্গলবার (৩০ জুন) ওই বিস্ফোরণে প্রথমে ১৩ জনের মৃত্যুর কথা বলা হলেও পরেও তা ১৯ জনে উন্নীত হয়। খবর বিবিসি।
তেহরানের ডেপুটি গভর্নর হামিদ রেজা গৌদারজি জানিয়েছেন, তেহরান বিস্ফোরণের সঙ্গে নাশকতার যোগ নেই। এটি একটি দুর্ঘটনা। গ্যাস লিক করেই সিনা আথার নামের ওই ক্লিনিকে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরাজ হারিরচি জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে নিহত ১৯ জনের মধ্যে ১০ জনই মহিলা। বাকিরা পুরুষ। বিস্ফোরণের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ক্লিপিং পোস্ট হয়।

রাষ্ট্রীয় টিভিতে তেহরানের দমকল বাহিনীর মুখপাত্র জালাল মালেকি জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের জেরে মেডিকেল বিল্ডিংয়ে আগুন লেগে গিয়েছিল। দমকলকর্মীরা তা নিভিয়ে ফেলেছেন। বিস্ফোরণের সময় ওই ভবনের ভিতরে ২৫ কর্মী ছিলেন। হতাহতদের মধ্যে অনেকেই ক্লিনিকে উপরের তলায় অপারেশন রুমে ছিলেন। তাপ এবং ঘন ধোঁয়া, শ্বাসকষ্টে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
গত সপ্তাহে তেহরানে একটি সামরিক অঞ্চলের কাছে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, একটি গ্যাস স্টোরেজের ট্যাংক লিক করেই ওই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
চ্যানেলগুলো ঘটনাস্থলের খুব বেশি ফুটেজ দেখায়নি। তারা শুধু রাস্তায় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরিত সিলিন্ডার দেখিয়েছে। কেন এই বিস্ফোরণ সে বিষয়েও তেমন কিছু উল্লেখ করেনি।

এই ঘটনার পর ইরানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডেভুড আবদি বলেন, গ্যাস লিকের কারণে এই বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে বলতে পারছি না ঠিক কী কারণে গ্যাস লিক হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাটিজের এক প্রতিবেদন বলছে, ইরানের যে এলাকাটিতে বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানে বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ আছে। এই সুড়ঙ্গগুলো মাটির বেশ গভীরে। ধারণা করা হচ্ছে, ইরানের সামরিক গবেষণা ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের কাজ হয়ে থাকে সেখানে।