সর্বশেষঃ

ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নোয়াখালীর কবিরহাটের সুন্দলপুর ইউনিয়নের বসতঘরে ঢুকে দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সাড়ে তিন বছরের শিশুকে যৌন হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এসময় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষ্যরিত এক বিবৃতিতে এতথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ স্কুলছাত্রীকে হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ ও শিশুকে যৌন হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহনসহ দ্রুত গ্রেফতার এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছে। নির্য্তানের শিকার কিশোরী, শিশুর সুচিকিৎসাসহ তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবি জানাচ্ছে। এ ধরণের বর্বর সহিংসতার ঘটনা প্রতিরোধে আশুকার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকার, প্রশাসনের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় এবং ধর্ষণ, গণধর্ষণ, যৌন নিপীড়র, পারিবারিক সহিংসতা এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা প্রতিরোধে সকল সামাজিক শক্তিকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়।

উল্লেখ্য, নোয়াখালী জেলার কবিরহাটের সুন্দলপুর ইউনিয়নের ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বারিপুকুর পাড় এলাকায় প্রতিবেশি আব্দুর রহিম রবিন কর্তৃক বসতঘরে ঢুকে দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার সময় প্রায়ই উত্যক্ত করে বিভিন্ন সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিলেও ছাত্রী রাজি না হলে গত সোমবার (২৯ জুন) বিকালে ওই ছাত্রীর মা একটি অটোরিকশাযোগে সেনবাগ উপজেলায় তার নানার বাড়িতে গেলে এই সুযোগে পার্শ্ববর্তী বাড়ির সামছু জামান মানিকের বখাটে ছেলে আব্দুর রহিম রবিন ওই ছাত্রীর বসতঘরে ঢুকে তাদের খাটের নিচে লুকিয়ে থেকে পরে সন্ধ্যার দিকে বাহিরের কাজকর্ম শেষ করে ওই স্কুলছাত্রী ঘরে ঢুকলে রবিন তাকে ঝাপটে ধরে মারধর ও তার হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় কবিরহাট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

এদিকে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বিকেল বাড়ির পাশে বাবে জান্নাত মাদরাসার ভেতর খেলতে গেলে এসময় মাদরাসার ছাত্র ফারুক ও কাওসার কৌশলে শিশুটিকে আটকিয়ে একজন পা ধরে রাখেন এবং অপরজন যৌন হয়রানি করে। এ সময় শিশুটি আর্তচিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসার পর ওই দুই কিশোর পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর বিষয়টি গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে মিমাংসার জন্য শিশুর পরিবারকে চাপ দিলেও গত সোমবার (২৯ জুন) নির্যাতিতা শিশুর মা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন।

মন্তব্য