সর্বশেষঃ

বরিশাল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এ্যাড. এ.কে.এম জাহাঙ্গীর

বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীর। গতকাল রবিবার দুপুর দেড়টায় তার পক্ষে মহানগর আ.লীগের সহ সভাপতি গাজী নাঈমুল হোসেন লিটু এই মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন মহানগরের সহ-সহাপতি আফজাল হোসেন, প্যানেল মেয়র এ্যাড. রফিকুল ইসলাম খোকন, বরিশাল আইনজীবী সমিতির সভাপতি লস্কর নুরুল হক, আইনজীবী সমিতির নেতা আনিস উদ্দীন আহম্মেদ শহীদ, এ্যাড. ফয়েজ, যুবলীগ নেতা এস এম ইশতিয়াক কবির রকি,আওয়ামীলীগ নেতা ক্যাইয়ূম খান রিপন,সাইফুল ইসলাম রিমন, মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রাজীব,আমিনুল ইসলাম সেন্টু,আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম ঝন্টুসহ আরো অনেকে। এর আগে শনিবার দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে একেএম জাহাঙ্গীরের নাম ঘোষনা করা হয়। একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তার নাম চূড়ান্ত করায় তিনি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বসহ দক্ষিণাঞ্চলের আওয়ামী লীগের ধারকবাহক পার্বত্য শান্তি চুক্তির আহ্বায়ক মন্ত্রী পদমর্যাদা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রতিও।
উল্লেখ্য দলীয় প্রার্থী হওয়ার জন্য ছয় নেতা আবেদন করেছিলেন। এরমধ্যে একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন ছাড়া বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মাঈদুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক খান আলতাফ হোসেন ভুলু, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আনিসুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ নেতা অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন দিলুও দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছিলেন।

তৃণমূলের দাবীকে প্রাধান্য দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব একেএম জাহাঙ্গীরকে মনোনয়ন দেয়ায় খুশি বরিশাল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এদিকে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল থেকে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়া না হলেও স্বতন্ত্র হিসেবে আসাদুজ্জামান আসাদ নামে একজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। যদিও বরিশালে বিএনপি ও জাতীয়পার্টি এ নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন নেতারা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মহসিন উল ইসলাম হাবুল জানান, তারা এ নির্বাচনে অংশ নেবেন না। নির্বাচনে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক। শিরিন বলেন, এ সরকারের অধীনে কোনো পাতানো নির্বাচনে তাদের দলের কোন নেতা অংশ নেবেন না। আর মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ইবিএম প্রত্যাহার, নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলে কোনো নির্বাচনেই বিএনপি যাবেনা এটা পরিষ্কার নির্দেশ দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের। আমরা তাই এসব নির্বাচন নিয়ে মোটেও ভাবিনা। দ্বিতীয় বারের মতো এ নির্বাচনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ভোট দেবেন এক সিটি কর্পোরেশন, ৬ পৌরসভা, ১০ উপজেলা পরিষদের ৮৮ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা। এ হিসেবে বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে এক হাজার ২৯৩ জন জনপ্রতিনিধি ভোট দেবেন বলে জানিয়েছে বরিশাল জেলা নির্বাচন অফিসার দেলোয়ার হোসেন।