মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ ২৫ হাজার টাকা
বর্তমানে বাংলাদেশের নাগরিকদের বছরে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৪ হাজার ৮৯০ টাকা। বুধবার সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।
বৈদেশিক ঋণ নিয়ে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রীর উত্তর টেবিলে উপস্থাপন হয়।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি প্রায় ৫ হাজার কোটি ডলার। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৩ লাখ। এই হিসেবে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৯২ দশমিক ১১ ডলার।
এ সময় অর্থমন্ত্রী জানান, ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বিপণী বিতান থেকে যে ভ্যাট আদায় করে তা জমা হচ্ছে রাষ্ট্রের কোষাগারে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) ‘ফ্লো অব এক্সটার্নাল রিসোর্স ইন টু বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে (গত জুন পর্যন্ত) বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি রয়েছে ৪ হাজার ৪০৯ কোটি ৫১ লাখ মার্কিন ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে) দাঁড়ায় ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮৯৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এ হিসাবে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ধরে হিসাব করলে প্রত্যেকের মাথায় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা।
এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুন পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ছিল ৩ হাজার ৮৪৭ কোটি ৫৪ লাখ ডলার এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ছিল ৩ হাজার ৩৫১ কোটি ১৮ লাখ ডলার