সর্বশেষঃ

বিএমএ ও স্বাচিপ নেতা ডা. মিলনের ছত্রছায়ায় সাবরিনার যত অপকর্ম

নিজস্ব প্রতিবেদক

জেকেজি’র করোনা টেস্ট প্রতারণায় গ্রেফতারকৃত ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে বহিষ্কৃত ডা. সাবরিনা আরিফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৩ জুলাই) আদালতে পুলিশ চার দিনের রিমান্ড চাইলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। এর আগে গতকাল রবিবার (১২জুলাই) দুপুরে তাকে (সাবরিনা) তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ কামশনার (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

গ্রেফতারকৃত ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী
জেকেজির করোনা টেস্ট প্রতারণা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর এখন কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসছে সাপ।

দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগকে অনিয়মের স্বর্গরাজ্য করে রেখেছেন ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। আর ছায়া হয়ে পাশে থেকেছেন ‘ইউনিট প্রধান’ ডা. কামরুল হাসান মিলন। তার অধীনেই রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন ডা.সাবরিনা। সূত্রমতে, ডা.মিলন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ)’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী পন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)’র সাথে যুক্ত থাকায় তাদের অনিয়মে অতিষ্ঠ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভয়ে মুখ খুলতেও নারাজ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মিলন – সাবরিনা সম্পর্ক অনেক পুরনো ও দীর্ঘদিনের। সাবরিনা-মিলনের ঘনিষ্ঠতায় চটে গিয়েছিলেন সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীও। এ নিয়ে হাসপাতালের ভেতরেই মিলনের সঙ্গে বিবাদেও জড়ায় জেকেজি কর্নধার আরিফ। এ ঘটনায় জিডিও হয় থানায়।

জানা যায়, পদে না থেকেও কার্ডিয়াক সার্জারির বিভাগীয় প্রধানের কক্ষটি দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখেছেন ‘ইউনিট প্রধান’ কামরুল হাসান মিলন। নিজের নামের পাশেও লিখে রেখেছেন বিভাগীয় প্রধান। বাধ্য হয়ে বর্তমান বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক রামাপদ সরকার ছোট একটি কক্ষে নেমপ্লেট লাগিয়ে কোনোমতে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। অথচ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের একটি ইউনিট প্রধানের দায়িত্বে আছেন ডা. কামরুল হাসান মিলন।

তার অধীনেই রেজিস্ট্রার চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। অভিযোগ রয়েছে, মিলনের ছত্রছায়াতেই অনিয়মের চূড়ায় উঠেছিলেন সাবরিনা। সাবরিনা দিনের পর দিন কাজ না করেই নিতেন বেতন। ডা. মিলনের সুনজরে থাকায় অনুপস্থিত থাকার পরও নাম উঠে যেত হাজিরা খাতায়। একজন স্টাফ জানান, ওনাকে একদিনও আমি দেখিনি।

এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি ডা. কামরুল হাসান মিলন। মিলন বলেন, পরিচালক সাহেব বলেছেন, মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার আগে তাকে জানাতে।

গ্লোবাল টাইম ২৪ডটকম